দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
চলতি বছর পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির বড় দুই এই পাবলিক (বোর্ড) পরীক্ষা নিয়ে দোটানায় সরকার। এখনো সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়নি সরকার। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি), মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী (ইইসি), জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে মতামত রয়েছে।
গত সপ্তাহে এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মুখ্যসচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবের একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে উভয় মন্ত্রণালয়ে পৃথক দুটি সারসংক্ষেপ তৈরি হচ্ছে। তবে আগামী রোববারের মধ্যে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে। দুই মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হবে না। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখনই তারা স্কুলে যাবে। যেহেতু কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরি কাজ শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাপনী পরীক্ষা না হলেও এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
তারা বলছেন, শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘ না করে বছরের মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিভিত্তিক লেখাপড়া শেষ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে।
আর ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো পাস’ দিয়ে তুলে দেয়া হবে। এই উভয় ক্ষেত্রেই পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে দেয়া হবে। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘কারিকুলাম ম্যাপিং’ করে দেবে।
এ বিষয়ে বুধবার (১২ আগস্ট) এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের বৈঠক শুরু হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে (নেপ) বিশেষজ্ঞদের বৈঠক চলছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে বিশেষ করে সামনে কোনো মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সংক্রান্ত একটা খসড়া প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। মতামতকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ নিয়ে এনসিটিবি কাজ করবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে শ্রেণি কার্যক্রম সমাপ্তির লক্ষ্য ধরে কারিকুলাম ও সিলেবাস মূল্যায়নের কাজ করছে নেপ। এজন্য তাদের দুটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। একটিতে ১ সেপ্টেম্বর ক্লাস কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য ধরা হবে। আরেকটিতে ১ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গআগামী রোববারের মধ্যে এটি অনুমোদনের জন্য পাঠানো হতে পারে। দুই মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষার সিনিয়র সচিব আকরাম-আল-হোসেন বলেন, শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া হবে না। পরিস্থিতি যখন স্বাভাবিক হবে তখনই তারা স্কুলে যাবে। যেহেতু কবে প্রতিষ্ঠান খোলা যাবে তা আমরা জানি না। তাই একাধিক বিকল্প হাতে রেখে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা তৈরি কাজ শুরু করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সমাপনী পরীক্ষা না হলেও এই দুই স্তরের শিক্ষার্থীদের বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। এই পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি অংশকে মেধাবৃত্তি দেয়ার চিন্তাভাবনা রয়েছে।
তারা বলছেন, শিক্ষাবর্ষ দীর্ঘ না করে বছরের মধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের শ্রেণিভিত্তিক লেখাপড়া শেষ করার চিন্তাভাবনা চলছে। সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বরের মধ্যে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া সম্ভব হলে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ডিসেম্বরে বার্ষিক পরীক্ষা নেয়া হবে। আর ডিসেম্বরের মধ্যে তা সম্ভব না হলে শিক্ষার্থীদের পরবর্তী শ্রেণিতে ‘অটো পাস’ দিয়ে তুলে দেয়া হবে।
এই উভয় ক্ষেত্রেই পাঠ্যবই বা সিলেবাসের যে অংশটুকু পড়ানো সম্ভব হবে না তার অত্যাবশ্যকীয় পাঠ পরের শ্রেণিতে দেয়া হবে। এজন্য জাতীয় পাঠ্যক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) ‘কারিকুলাম ম্যাপিং’ করে দেবে। এ বিষয়ে বুধবার (১২ আগস্ট) এনসিটিবিতে কারিকুলাম বিশেষজ্ঞদের বৈঠক শুরু হচ্ছে। এছাড়া কয়েকদিন ধরে এ নিয়ে ময়মনসিংহে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমিতে (নেপ) বিশেষজ্ঞদের বৈঠক চলছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, ‘মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে শিক্ষায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণে বিশেষ করে সামনে কোনো মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলে কী ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে, সে সংক্রান্ত একটা খসড়া প্রস্তাব আমরা পেয়েছি। মতামতকে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি। এ নিয়ে এনসিটিবি কাজ করবে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসে শ্রেণি কার্যক্রম সমাপ্তির লক্ষ্য ধরে কারিকুলাম ও সিলেবাস মূল্যায়নের কাজ করছে নেপ। এজন্য তাদের দুটি পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। একটিতে ১ সেপ্টেম্বর ক্লাস কার্যক্রম শুরুর লক্ষ্য ধরা হবে। আরেকটিতে ১ অক্টোবর থেকে কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা থাকবে।
সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ফলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৮৮টি কর্মদিবস নষ্ট হচ্ছে। এর আগে ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪১ দিন কর্মদিবস পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এ সময়ে তেমন একটা লেখাপড়া হয়নি।
জানা গেছে, পরিকল্পনা-১ অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা মাত্র ৬৬ দিন পাচ্ছে। আর ১ অক্টোবর থেকে স্বাভাবিকভাবে ৫২ দিন কর্মদিবস থাকে। তবে পরিকল্পনা দুটি বাস্তবায়নে শীতকালীন ১০ দিনের ছুটি বাতিল বা কমানোর সুপারিশও আছে।ত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। ফলে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৮৮টি কর্মদিবস নষ্ট হচ্ছে। এর আগে ১৬ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৪১ দিন কর্মদিবস পেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। কিন্তু এ সময়ে তেমন একটা লেখাপড়া হয়নি।
জানা গেছে, পরিকল্পনা-১ অনুযায়ী ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীরা মাত্র ৬৬ দিন পাচ্ছে। আর ১ অক্টোবর থেকে স্বাভাবিকভাবে ৫২ দিন কর্মদিবস থাকে। তবে পরিকল্পনা দুটি বাস্তবায়নে শীতকালীন ১০ দিনের ছুটি বাতিল বা কমানোর সুপারিশও আছে। #