দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুরে নিকাহ রেজিস্টার (বিয়ের কাজী) নিয়োগে আইন ও বিধি লঙ্ঘন করে বহিরাগত ব্যক্তি নাজমূল হককে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ।শুধুতাই নয়, ঢাকা জেলা রেজিস্টার অফিসে নিকাহ রেজিস্টার নিয়োগ সংক্রান্ত কমিটির মতামত ও সুপারিশ অমান্য করে নানা অনিয়ম,জালিয়াতি,দুর্নীতি এবং মোটা অংকের ঘুষ বাণিজ্যের বিনিময়ে পছন্দের ব্যক্তি নাজমূল হককে নিকাহ রেজিস্টার নিয়োগ দেওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওই দপ্তরের (ডিআরএর) কম্পিউটার অপারেটর শরীফ কয়েক দফায় তার কাছে থেকে ১৮ লাখ টাকা নেওয়া স্বত্বেও শেষ পর্যন্তা তাকে নিকাহ রেজিস্ট্রার পদে নিয়োগ দেননি।
শনিবার (১০ অক্টোবর)দুপুরে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে রফিকুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী এসব অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও ভোটার। নিকাহ রেজিস্টার নিয়োগে তিনি প্যানেল ১ নম্বর ক্রমিকধারী।অথচ তাকে নিয়োগ না দিয়ে ঢাকার বাইরের এবং ওই এলাকার ননভোটার নাজমুল হক নামের একজনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেয়া হয়।
তিনি বলেন,এ অবৈধ নিয়েগের বিরুদ্ধে চলতি বছর ১৫ জুন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোটে রিট পিটিশন মামলা নং-৭৫/২০২০ দায়ের করা হয়েছে। এই মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আরো অভিযোগ করা হয়, নাজমুল হকের শিক্ষা সনদ ভাড়া নিয়ে তানভীর নামের একজন নিয়োগপ্রাপ্ত হয়। এক্ষেত্রে মোটা অংকের ঘুষ বানিজ্য হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
রফিকুল ইসলামকে নিকাহ রেজিস্টার পদে নিয়োগ দেওয়ার জন্য,স্থানীয় সংসদ সদস্য আসলামুল হক, স্থানীয় ১০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সলর আবুতাহের, সংরক্ষিত আসণের ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজিয়া সুলতানা (ইতি) এবং ব্যবহ্নত ঠিকানার ওই বাড়ির মালিক এসএম মাহবুব আলম পৃথকভাবে আইন মন্ত্রণালয় সুপারিশ করেছেন। একই সঙ্গে অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া নিকাহ রেজিস্টার নাজমুলের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও সুপারিশ করেন তারা।
লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম জানান, ডিআরএর কম্পিউটার অপারেটর শরীফ কয়েক দফায় তার কাছে থেকে ১৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েও শেষ পর্যন্তা তাক নিয়োগ দিতে পারেনি। এধরনের অভিযোগ আরো অনেক রয়েছে। কম্পিউটার শরীফ মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। নিজেকে মন্ত্রীর কাছের লোক পরিচয়ে এসব প্রতারণা করে আসছেন তিনি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, আইন মন্ত্রী, সচিব, দুদক, নিবন্ধন অধিপ্তরের মহা পরিদর্শকসহ বিভিন্ন দপ্তরে শরীফের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া নিকাহ রেজিস্টার নাজমুলের নিয়োগ বাতিল করে রফিকুল ইসলামকে নিয়োগ দিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হযেছে সংবাদ সম্মেলনে। পাশাপাশি ঘুষ বাণিজ্যে অভিযুক্ত শরীফের অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আাইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও দাবি জানিয়েছেন রফিকুল ইসলাম। #