দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
শ্রম বিভাজন থেকে মুক্ত হওয়ার লড়াই হচ্ছে প্রথম কাজ আর দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে বাইরের দুনিয়ায় নারীর সমঅধিকার অর্জন করা বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট সাহিত্যিক কবি নাহিদ রোকসানা।
রোববার (৮ মার্চ) নয়াপল্টনের মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২০’ উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে কাজ পুরুষ করতে পারে সেই কাজ নারীও করতে পারে। এই কথা মনে করে সকল নারী সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। নারী মুক্তির জন্য শ্রম বিভাজন থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য প্রচন্ড লড়াই করতে হবে।
দলের সভাপতি এম এ জলিলের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ন্যাপ-ভাসানী চেয়ারম্যান মোসতাক আহমেদ, বাংলাদেশ জাসদ নেতা মো. শাহাবুদ্দিন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগ নেতা আ স ম মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা মহাজোট সন্তান ও প্রজন্ম কামান্ডের মহাসচিব নেয়ামুল হোসেন লিটন, নারী নেত্রী সালমা আক্তার, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সমির রঞ্জন দাস প্রমুখ।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, সামন্ততন্ত্র নারীকে গৃহবন্দী করেছিল আর পুঁজিবাদ নারীকে হাটেবাজারে বিক্রি করছে। আমাদের নারী হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবেই পরিচিত হতে হবে। আমরা মানুষের সমাজ বিনির্মাণ করতে চাই। যে সমাজে নারীরা শোষণ-বঞ্চনার শিকার না হয়ে সমাজ ব্যবস্থার মূল চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রে নারীর বঞ্চনার শেষ নেই। তাই রাষ্ট্র ও সরকারের দিকে না তাকিয়ে লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে নারীকেই তার সামগ্রিক অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। নারীকে তার অধিকার আদায়ের জন্য সেই আদিকাল থেকে এখন পর্যন্ত লড়াই করে যেতে হচ্ছে। নারী সংগ্রামের এই ক্রান্তিকাল কোনো অবস্থাতেই শেষ হচ্ছে না।
সভাপতির বক্তব্যে এম.এ জলিল বলেন, বৈষম্য ভাঙার জন্য নারীদের আরো সচেতন হতে হবে। বেতনের বৈষম্য শুধু না, অধিকার বৈষম্যও ধীরে ধীরে আমাদের কমিয়ে আনতে হবে। নারী-পুরুষের ঐক্য যেমন দরকার তেমনি নারী-পুরুষের সংগ্রামও দরকার।
নারী-পুরুষ উভয়কে যদি সমাজ বা সমাজ-ব্যবস্থা নিজ নিজ স্বকীয় মূল্যবোধের অধিকার দিয়ে থাকে তবে সে সমাজ ব্যবস্থয় ‘সমঅধিকার’ চেয়ে আদায়ের কোনো প্রয়োজন পড়ে না, বরঞ্চ নারী-পুরুষ পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ নিয়ে একটি সুষ্ঠ সমাজ গঠনে সহায়ক হতে পারে।
আলোচকবৃন্দ বলেন, নারী অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়া এখন সময়ের প্রয়োজন মাত্র। নারীর অধিকারের দাবী তোলা কোনো বাড়তি চাহিদা বা সুযোগ চাওয়া নয।
নারীর অধিকার আদায়ের দাবী মানে সে পুরুষের সমান হতে চাওয়ার দাবী নয়, বরং; নারী একজন মানুষ হিসাবে মৌলিক দাবীগুলো যেমন, সামাজিক, রাজনৈতিক আর অর্থনৈকিত অধিকার আদায়ের দাবী’র কথা বলছে।
সে অন্যের অধিনে যেমন নিষ্পেষিত জীবন চায় না তেমনি নারী হওয়ার কারণে তার ওপর অর্পিত ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ বিভিন্ন স্তরের বৈষম্যগুলো ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে চায়, বলা চলে; এটাই নারীর আত্মপোলব্ধি। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি