দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ডিপিডিসি’র কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীর বিদ্যুৎ চুরির ঘাটতি মিটাতেই ভুতুড়ে বিলের উদ্ভব হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক জননেতা কমরেড আবু হাসান টিপু।
শুক্রবার (২২ মে) তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ডিপিডিসির ভুতুড়ে বিলের তান্ডব আজ নতুন কিছু নয়। সারা বছরই কোন না কোন গ্রাহককে গুনতে হচ্ছে এই ভুতুড়ে বিলের হিসাব। বিশেষ ক্ষেত্রে লক্ষলক্ষ টাকার বিদ্যুৎ বিলকে হাজার টাকায় পরিণত করে তারা যে অবৈধ আয় করেন তাদের সেই অবৈধ আয়কে বৈধ করতেই সাধারণ গ্রাহককে ভুতুড়ে বিল ধরিয়ে দিয়ে প্রতিনিয়ত মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন; এমনটাই অভিযোগ আজ ভুক্তভুগি গ্রাহকদের মুখে মুখে।
আবু হাসান টিপু বলেন ,দীর্ঘদিন ধরেই নারায়ণগঞ্জ ডিপিডিসি কার্যালয়টি দুর্নীতিবাজদের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগ কিংবা অন্য যে কোন সেবার জন্য অবৈধ লেনদেন এখানে অপরিহার্য, যেন এটাই রীতি।
তিনি আরও বলেন , প্রথম ধাপ অপেক্ষা দ্বিতীয় ধাপের ট্যারিফ মূল্য প্রতি ইউনিটে ১টাকা ৪৫পয়সা বেশী আর সর্বশেষ ধাপ অর্থাৎ ষষ্ঠ ধাপের ট্যারিফ মূল্য পথম ধাপের ট্যারিফ মূল্যের প্রায় তিনগুন বেশী এবং একজন গ্রাহককে এই হিসাবেই মোট ব্যবহৃত ইউনিটের জন্য অতিরিক্ত মূল্য গুনতে হয়।
বর্তমানের ভুতুড়ে বিলে তারা যে অতিরিক্ত ইউনিট যুক্ত করেছেন তার ফলে প্রত্যেক গ্রাহককে প্রথম কিংবা দ্বিতীয় ধাপের সমপরিমান ইউনিট ব্যবহার করেও তৃতীয় চথুর্ত কিংবা ষষ্ঠ ধাপের ইউনিট মূল্য প্রদান করতে হবে। সুতরাং নারায়ণগঞ্জ ডিপিডিসির কর্মকর্তাদের বর্ধিত বিল সমন্বয়ের আশ^াসও আরেক ধরণের প্রতারণার কৌশল মাত্র।
আবু হাসান টিপু বলেন মরণঘাতি করোনা ভয়াবহ পরিস্থিতি ও ঈদকে সামনে রেখে সর্বস্তরের পেশাজীবী মানুষই আজ দিশেহারা। এমনই এক দূর্যোগ মূহুর্তে কাল্পনিক রিডিং দেখিয়ে ভুতুড়ে বিলের খড়গ নারায়ণগঞ্জবাসীর উপর যেন মরার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে পরেছে।
এমতাবস্থায় অবিলম্বে সকল ভুতুড়ে বিলকে সমন্বয় নয় সংশোধন করতে হবে। যে গ্রাহক যেই ধাপের পরিমান ইউনিট ব্যবহার করেছেন সেই ধাপের ট্যারিফ মূল্য অনুযায়ী বিল প্রস্তুত করতে হবে। অন্যথায় কাল্পনিক বিল তৈরী করে জনগণের পকেট কাটার অপরাধে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ ভুক্তভোগী বিদ্যুৎ গ্রাহকদের রোসানল পরলে এর দায় দায়িত্ব ডিপিডিসিকেই নিতে হবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।