দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
নাটোর শহরের ভবানীগঞ্জ এলাকায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একইদিনে ‘ ইসলামীয়া হোটেলের ওরফে পচুর হোটেলের মালিক’ শরিফুল ইসলাম পচু ও তার ভাই জাহাঙ্গীরের মৃত্যুর খবর শুনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বড়ভাই বাবলুও মারাগেলেন।
জানা যায়, শুক্রবার (৯ জুলাই) ভোর রাতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘পচুর হোটেল’ নামে পরিচিত নাটোর শহরের ঐতিহ্যবাহী রেস্তোরাঁ ইসলামীয়া হোটেলের সত্ত্বাধিকারী শরিফুল ইসলাম পচু মারা যান।
এর এক ঘণ্টা পর পচুর মৃত্যুর খবর শুনে বড় ভাই বাবলু হৃদরোগে বাড়িতেই মারা যান। তাদের সবচেয়ে ছোট ভাই জাহাঙ্গীর করোনায় আক্রান্ত হয়ে একই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান।
শুক্রবার বাদ জুমা পচু ও বাবলুকে দাফন করা হয় নাটোর শহরের গাড়িখানা কেন্দ্রীয় গোরস্থানে। পরিবারের সদস্য ও স্বজনদের কান্না আর শোক না কাটতেই সন্ধ্যায় খবর আসে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন ছোট ভাই জাহাঙ্গীরও আর জীবিত নেই।
শোকে পাথর পচুর ছেলে লিটন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সব শেষ হয়ে গেছে।প্রায় ৪০ বছর ধরে নাটোর শহরের চকরামপুর এলাকায় ভাইদের সঙ্গে নিয়ে হোটেল ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন শরিফুল ইসলাম পচু।
খাবারের স্বাদের জন্য পণ্যবাহী যানবাহণসহ দূরপাল্লার পরিবহন শ্রমিকদের কাছে নাটোরের পচুর হোটেল এক নামে পরিচিত।
জাহাঙ্গীর করতেন লেদ সামগ্রীর ব্যবসা। বিনয়ী ও নম্র তিন ভাইয়ের মৃত্যুতে শহর জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে এই শোক আর সান্ত¡না খুঁজে ফিরছে নাটোরের মানুষ। #