দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
আজ সোমবার (২২ নভেম্বর) ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৫১ নং ওয়ার্ডের ধোলাইরপাড় এলাকায় অবস্থিত প্রায় ৪ একর আয়তনের পুকুর বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের বৈধতা নিয়ে দায়ের করা রিটের শুনানি শেষে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বেলার আইনজীবী হাসানুল বান্না গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
রিটে বিবাদীগণ হলেন,মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলরসহ আরো বেশকয়জন। রিটে পুকুরকে মাটি ভরাট থেকে রক্ষা, পুনরুদ্ধার এবং সংরক্ষণে বিবাদীগণের ব্যর্থতাকে সংবিধান বিরোধী ও প্রয়োগযোগ্য আইন বহির্ভূত হওয়ায় কেন বেআইনী, আইনগত কর্তৃত্ব বর্হিভূত এবং জনস্বার্থ বিরোধী ঘোষণা করা হবেনা তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
একইসাথে পুকুরটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা, সংরক্ষণ করা ও রক্ষণাবেক্ষণ করার নির্দেশ কেন দেয়া হবেনা তাও জানতে চেয়ে বিবদীগণের উপর রুল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট। সেইসাথে, বিবাদীগণ (বিবাদী নং ২, ৯ ও ১০) কর্তৃক ধোলাইরপাড় পুকুর ভরাটের কার্যক্রম ও উক্ত স্থানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ প্রকল্প নির্মাণের উপর ৩ (তিন) মাসের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মহামান্য আদালত।
বিচারপতি মোঃ মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মোঃ কামরুল হোসেন মোল্লা এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বিভাগের একটি বে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) কর্তৃক দায়েরকৃত এক জনস্বার্থমূলক মামলার (নং- ১০১৮৮/২০২১) প্রাথমিক শুনানী অন্তে উল্লেখিত রুল ও আদেশ জারি করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের শ্যামপুর পুলিশ স্টেশনের অন্তর্ভুক্ত ৫১ নং ওয়ার্ডের একটি জনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকা ধোলাইরপাড় এলাকার জুরাইন মৌজার আরএস ৮১ নং এবং সিটি জরিপের ৬২৭ নং দাগে বিদ্যমান প্রায় ৪ একর আয়তনের পুকুর ভরাট করে সম্প্রতি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে পুকুরটির এক তৃতীয়াংশ ভরাট করা হয়েছে।
এলাকাটিতে প্রায় ৩০ হাজার লোক বসবাস করে। এ আবাসিক এলাকাটি বৃহত্তর ডেমরা থানার অংশ বিশেষ। এখানে রয়েছে স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসা। শ্যামপুর ৫১ নং ওয়ার্ডে বসবাসকারী বাসিন্দাদের পানি নিষ্কাশনে ও অগ্নি নির্বাপণে দীর্ঘ সময় ধরে অবদান রেখে আসছে অত্র পুকুরটি। এমতাবস্থায় পুকুরটি রক্ষার নিমিত্তে বেলা উল্লেখিত জনস্বার্থমূলক মামলাটি দায়ের করে।
বেলা‘র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলী। রাষ্টপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
রিটমামলার বিবাদীগণ- ১। সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, ২। মেয়র, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ৩। মহাপরিচালক, পরিবেশ অধিদপ্তর, ৪। চেয়ারম্যান, নদী রক্ষা কমিশন, ৫। চেয়ারম্যান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ৬। জেলা প্রশাসক, ঢাকা, ৭। পুলিশ কমিশনার, ঢাকা মেট্টোপলিটন এরিয়া, ৮। পরিচালক, মনিটরিং এন্ড এনফোর্সমেন্ট, পরিবেশ অধিদপ্তর, ৯। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ১০। কাউন্সিলর, ওয়ার্ড নং ৫১, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।