দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ বলেছেন, ধর্ষকের শাস্তির বিষয়টি নির্ভর করে বিচার বিভাগের ওপর। বাংলাদেশের আইনে এ ধরনের অপরাধীদের কেমন শাস্তি হবে সেগুলো আইন কর্তৃক নির্ধারিত করা আছে।
বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আইজিপি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ধর্ষণের প্রতিটি ঘটনায় সরকার কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। অপরাধীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কিন্তু গ্রেফতারই শেষ নয়। পুলিশের দায়িত্ব দ্রুত চার্জশিট দেয়া।
তিনি বলেন, মামলা সম্পন্ন করতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত চার্জশিট দেবে পুলিশ। পুলিশ যখন অপরাধীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে তখন বিচারকরা তাদের যথাযথ শাস্তি দেবে। এরা কেউই রেহাই পাবে না বলে আমার দৃঢ়বিশ্বাস। পুলিশ যখন অপরাধীদের বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাবে, তখন যার যা প্রাপ্য সে তাই পাবে।
আইজিপি বলেন, আমাদের মিডিয়া অনেক শক্তিশালী এবং আমাদের দেশের মানুষ খুবই রাজনীতি সচেতন। তারা রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে খুব সচেতন। এখন একটি স্কুলের বাচ্চাও তার রাজনৈতিক অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন। কারণ আমাদের শিক্ষা বিস্তার লাভ করেছে। একই সঙ্গে শিক্ষার গুণগত উন্নয়ন হয়েছে।
এর আগে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বেনজির আহমেদ। এরপর বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি শফিকুল ইসলাম, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি ড. খ. মহিদ উদ্দিন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মাসুদুর রহমান (ডিআইজি), ডিআইজি (অপারেশন) এম খুরশীদ হোসেন, গোপালগঞ্জের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ শহরের থানাপাড়া পৌর কবরস্থানে তার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন। #