দূরবীন নিউজ ডেস্ক:
দ্রুততম সময়ের মধ্যে এবারও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করেছেন কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল মজিদ, ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আনিছুর রহমান, ডিন ড. এএস এম মুজাহিদুল হক, অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস, ড. কিশোর মজুমদার, ড. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ড. জাফিরুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শেখ মিজানুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ইকবাল কবীর জাহিদ ও সাধারণ সম্পাদক ড. নাজমুল হাসান, রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারি ও সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসান, কর্মচারী সমিতির সভাপতি সাজেদুর রহমান জুয়েল ও সাধারণ সম্পাদক কে এম আরিফুজ্জামান সোহাগ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, যবিপ্রবিতে ৬টি ইউনিটে ৯১০টি আসনের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ৩০ হাজার ১৪১ জন পরীক্ষার্থী। এদের মধ্যে পাস করেছে ৭ হাজার ২৭৭জন। সবচেয়ে কম পাসের হার ‘ডি’ ইউনিটে ২ দশমিক ৮৮ শতাংশ। আর সবচেয়ে বেশি ‘সি’ ইউনিটে পাসের হার ৫৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ‘এ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ভুল প্রসঙ্গে বলেন, প্রশ্নের যে কোনো ত্রুটি বা বেনিফিট অব ডাউট শিক্ষার্থীদের পক্ষে রেখে ফলাফল মূল্যায়ণ করা হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল নিয়ে কোনো শিক্ষার্থীর যদি সংশয় থাকে বা তার মেধার প্রকৃত মূল্যায়ণ হয়নি বলে মনে করেন, তাহলে ওই পরীক্ষার্থীর আবেদন সাপেক্ষে তার ফলাফল পুনরায় যাচাই-বাছাই করা হবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ পরীক্ষা, ভর্তি পরীক্ষাসহ সকল কার্যক্রম উন্মুক্ত। এখানে সংশয়ের কিছু নেই। ‘ডি’ ইউনিটে পাসের হার কম প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, এই ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ইংরেজি বিষয়ে ৪০ নম্বরের মধ্যে ২০ না পেলে উত্তীর্ণ হবে না। এমন নির্দেশনা ছিল। এজন্য পাসের হার কম।
উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন আরও জানান, ‘এ’ ইউনিটে ২৪৫ আসনের বিপরীতে ৯ হাজার ৭০২ জনের মধ্যে পাস করেছে ৯৬৭ জন। পাসের হার ৯ দশমিক ৯৭ শতাংশ। ‘বি’ ইউনিটে ১৯০ আসনের বিপরীতে আট হাজার ৭৭৩ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে এক হাজার ৭৯৮জন। পাসের হার ২০ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
‘সি’ ইউনিটে ২৫৫ আসনের বিপরীতে ৬ হাজার ৭৫৪ পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাস করেছে ৩ হাজার ৬২৩জন। পাসের হার ৫৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ। ‘ডি’ ইউনিটে ৪০টি আসনের বিপরীতে দুই হাজার ১৮৫ জন। পাস করেছেন মাত্র ৬৩ জন। পাসের হার দুই দশমিক ৮৮ শতাংশ।
‘ই’ ইউনিটের ২৫টি আসনের বিপরীতে ৬৮৩ জন পরীক্ষার্থীর পাস করেছে ৩০৫জন। পাসের হার ৪৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ। ‘এফ’ ইউনিটের ১৫৫ আসনের বিপরীতে দুই হাজার ৪৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৫২১ জন উত্তীর্ণ হয়েছে। পাশের হার ২৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ।
এ বছর ৬টি ইউনিটের সাতটি অনুষদের অধীনে ২৬টি বিষয়ে ৯১০টি আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন মেধা তালিকায় থাকা পরীক্ষার্থীরা। এর বাইরে পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ মুক্তিযোদ্ধা, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও যবিপ্রবিতে কর্মরত শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারীদের সন্তানরে পোষ্য কোটায় ৫৪ জন ভর্তির সুযোগ পাবেন। ২৪ নভেম্বর থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা চয়েস ফরম পূরণ করতে পারবে। # কাশেম