দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অনুসারে দেশের সর্বস্তরে কার্যকর জবাবদিহি ও অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার কাজ করছে দুদক। তিনি বলেন, দুর্নীতি শুধু অপরাধের বিষয় নয় এটি একটি গভার্ননেন্স ইস্যুও বটে।
মঙ্গলবার (১০ মার্চ) সেগুনবাচায় দুদক প্রধান কার্যালয়ে অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী লিন মরগেইন এর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সাথে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অক্সফাম অস্ট্রেলিয়ার পরিচালক প্রোগ্রাম এন্থিয়া স্পিংকস , অক্সফাম বাংলাদেশের কান্ট্রিডিরেক্টর ড. দীপঙ্কর দত্ত, দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম সোহেল, অক্সফাম বাংলাদেশের পলিসি এডভাইজর মঞ্জুর রশীদ প্রমুখ।
বৈঠকে পারস্পরিক সহযোগিতা বিশেষ করে আউটরিচ কমিউনিকেশনকে কীভাবে আরো ফলপ্রসূ করা যায় তা নিয়ে কথা হয়। গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুদক দেশের তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের অধিকার সচেতন করা এবং স্থানীয় পর্যায়ের কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য গণশুনানির মতো কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
গণশুনানি কার্যক্রমে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ এবং কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনার মাধ্যমে দুদক তৃণমূল পর্যায়ে জবাবদিহিমূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলারও চেষ্টা করছে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন , আমার আমাদের নতুন প্রজন্মকে নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্যও কাজ করছি। দেশব্যপী ২৬ হাজার ২১৩ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে বিতর্ক প্রতিযোগিতা হচ্ছে এর মাধ্যমে তরুণ শিক্ষার্থীদের বিনয়ী, পরমতসহিষ্ণু, অধ্যাবসয় এবং গণতান্ত্রিক আচরণে উজ্জীবীত করার চেষ্টা করছি।
তিনি বলেন, আমাদের সততা ও নৈতিকতার গৌরবজ্জল ঐতিহ্য রয়েছে । বিশ্বায়ন, তথ্য প্রযুক্তির প্রসারসহ নানা কারণে হয়তো আমাদের সেই গৌরব কিছুটা হলেও ম্লান হয়েছে। আমরা চাই তরুণদের মননে আমাদের অতীত ঐতিহ্য গ্রোথিত করতে।
এসব আউটরিচ কর্মসূচির মাধ্যমে তাদেরকে সবসময় একটি নিষ্কলুষ পরিবেশে আবদ্ধ রাখতে চাই। যে কারণেই কমিশন সাংবাৎসরিক ভিত্তিতে তরুণদের নিয়ে বহুমাত্রিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। আমরা চাই বিশ^ব্যাপী যেসব উত্তম চর্চা রয়েছে সেগুলো আমাদের দেশের তরুণদের মাঝো ছড়িয়ে দিতে।
তিনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তির কল্যানে শিক্ষার্থীরা বাস্তব জগতের চেয়ে ভার্চুযাল জগতে বেশি সময় কাটায়। এতে বাস্তবতা অনুধাবনের সক্ষমতা কমে যায়। তাই তরুণদের সকল প্রকার উত্তম চর্চায় সম্পৃক্ত করতে হবে। সততা সংঘ, সততা স্টোর কিংবা তরুণদের দুদক যেসব শিক্ষা উপকরণ প্রদান করে , এর মাধ্যমে তাদেরকে মূল্যবোধের বিকাশ ঘটাতে চায়।
বৈঠকে লিন মরগেইন বলেন, দুদকের এসব কার্যক্রম তরুণদের মাইন্ডসেট পরিবর্তনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। দুদক শিক্ষার্থীদের যেসব শিক্ষা উপকরণ প্রদান করে তা দেখে তিনি দুদকের ভূয়শী প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি বলেন, দুদক যেসব বিতর্ক প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করছে, এর বিচারক হিসেবে অধিক হারে নারী কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ত করা সমীচীন ।
তিনি আরো বলেন, দুদক এনজিও তথা অক্সফামের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে, এটা একটি অনন্য দৃষ্টান্ত। বিশে^র প্রতিটি দেশের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা এজাতীয় কার্যক্রমকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। অক্সফাম বিশ^ব্যাপী এই মডেল ছড়িয়ে দিতে চায়। # কাশেম