দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নব নিযুক্ত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহ বলেছেন,দুর্নীতি দমন এবং প্রতিরোধের কাজটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের।বাংলাদেশকে পুরোপুরি দুর্নীতি মুক্ত করা খুবই দুরূহ কাজ। তাই দুর্নীতি একটা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে কাজ করবো আমরা।
শনিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো শোষণ মুক্ত, বৈষম্যহীন ও দুর্নীতিমুক্ত সোনার বাংলা গড়ার। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার রজতজয়ন্তীতে তার স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করবে দুদক।
এর আগে দুদক চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান।
পরে তিনি বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় দুদক কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক, সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলামসহ স্থানীয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে দুদক চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইতে মন্তব্য লিখে স্বাক্ষর করেন।
উল্লেখ্য,গত ৩ মার্চ রাষ্ট্রপতির আদেশে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে দুদকের নতুন চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহএর্ং নতুন কমিশনার মো. জহুরুল হকে নিয়োগ দেয়। দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ৫(১) ধারার বিধান অনুযায়ী এ নিয়োগ দেওয়া হয়।
তারা গত ১০ মার্চ বেলা ১১ টায় দুদক কার্যালয়ে যোগদানের পর প্রথম দিনের অফিস করেন। তবে ওইদিন অফিস শেষ দুপুর আড়াই টায় দুদকের মূল ফটকে সাংবাদিকদের কাছে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে নতুন চেয়ারম্যান এবং নতুন কমিশনার বলেছিলেন,দুর্নীতি প্রতিরোধের কাজটি সত্যিই চ্যলেঞ্জের।
তবে তারা দুর্নীতি দমনের কাজে কোনো আপোস করবেন না, এবং পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার পাশাপামি অর্থপাচার প্রতিরোধের কাজকে অত্রাধিকার দেবেন। দুদকের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে চেষ্টা করবেন। /