দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
মঙ্গলবার (৩ মার্চ) দুর্নীতি দমন কমিশনের ২২টি সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে ২২ জন সহকারী পরিচালক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে কমিশনের নিজস্ব গোয়েন্দা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এসব গোয়েন্দা কর্মকতাদের কার্যক্রম নিবিড় নজরদারি করার জন্য পরিচালক পদমর্যাদর আরো ৮ জন কর্মকর্তাকে শিগগিরই শীঘ্রই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।
গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি জানান এসব গোয়েন্দা কর্মকর্তারা দুর্নীতির কুখ্যাতি রযেছে এমন কর্মকর্তাদের ঘুষ-দুর্নীতির বিশ^াসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করে নিয়মিত প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন।
এছাড়া সন্ত্রাস, চাদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি, ক্ষমতার অপব্যবহার-দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অনৈতকতার মাধ্যমে যে বা যারা অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন তাদের সম্পর্কে বিশ্বসযোগ্য তথ্য সংগ্রহ করে প্রধান কার্যালয়ে প্রেরণ করবেন। আধুনিক গোয়েন্দা ব্যবস্থাপনায় যেভাবে তথ্য বিন্যাস করা হয় ঠিক একইভাবে তা সংরক্ষণ করা হবে।
দুদক জানায় গোপনীয় একটি বিশেষ কোডের মাধ্যমে এসব কর্মকর্তারা কমিশনে গোয়েন্দা তথ্য প্রেরণ করবেন। কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের গোয়েন্দা শাখা এসব তথ্য নিয়মিত কমিশনে উপস্থাপন করবে। পূর্ণাঙ্গ কমিশন এসব তথ্য বিচার-বিশ্লেষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন,‘ নির্মোহ গোয়েন্দা তথ্যের মাধ্যমে দুর্নীতির বস্তুনিষ্ঠ তথ্য সংগ্রহ করা সহজ হবে। এর মাধ্যমে অনুপার্জিত আয় অর্জনকারীদের সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে। ফলে অনুপার্জিত আয় ভোগ করার পথ আরো কণ্টকাকীর্ণ হবে। ’#কাশেম