দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ পাবলিক প্রসিকিউটরদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, দুদকের মামলায় হেরে যাওয়ার পিছনে কার ত্রুটি রয়েছে। ত্রুটিগুলো আপনারা চিহ্নিত করবেন। দুদকের তদন্ত কর্মকর্তাদের (চার্জশিটে) অভিযোগপত্রের ত্রুটি, নাকি প্রসিকিউশনের ত্রুটি, না অন্য কিছু ত্রুটি রয়েছে ।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পাবলিক প্রসিকিউটরদের (২য় ব্যাচ) বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দুদক চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, লিগ্যাল অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোঃ মফিজুর রহমান ভূয়া, প্রশিক্ষণ ও আইসিটি বিভাগের অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম সোহেল প্রমুখ।
ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি সর্বগ্রাসী, সর্বভূক এবং ধ্বংসাত্মক অপরাধ। এটি এমন অপরাধ যার প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে । কোনো একটি প্রতিষ্ঠানের দুর্নীতির ঘটনা ঘটলে, অসংখ্য প্রতিষ্ঠানে এর প্রভাব পড়ে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, দুদকের পক্ষ থেকে করা মামলায় আসামি গ্রেফতার করছে এবং আবার ওইসব মামলায় আসামিদের সাজাও হচ্ছে। এগুলোকে দুর্নীতিবিরোধী কার্যক্রমের প্রদর্শন করা যেতে পারে। যাতে অন্যরা দুর্নীতি করতে সাহস না পায়।
তিনি বলেন ঘুষ খাওয়ার অভিযোগে কমিশন অনেককেই গ্রেফতার করছে, বিগত সাড়ে তিন বছরে ৮০টি ফাঁদ মামলা পরিচালনা করে প্রায় একশত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাতে কি ঘুষ খাওয়া একেবারে বন্ধ হয়েছে, ? হয়তো হয়নি।
কিন্তু যখন ঘুষখোরদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাতে অন্য ঘুষখোররা হয়তো শঙ্কিত হচ্ছে। এটাই প্রদর্শন
করবেন এবং এই কাজটিই করছে দুদক।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, তাত্ত্বিভাবে বলা যায় কমিশনের মামলায় শতভাগ সাজা হওয়া উচিত। কারণ কমিশনের প্রতিটি মামলা দালিলিক সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়, এখানে শোনা কথার স্বাক্ষীর প্রয়োজন নেই। তারপরও কেন শতভাগ মামলায় সাজা হচ্ছে না ? তবে গলদটা কোথায় ।
তিনি বলেন, আপনারা নামী-দামি আইনজীবী-সমাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ, আপনাদের যোগ্যতা ও কাজের অনুপাতে কমিশন থেকে অর্থ দেওয়া হয় না। একথা ঠিক। তবে সমাজ, দেশ ও জাতির স্বার্থে আপনার দুর্নীতির মতো সর্বভুক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। এটা আপনাদের মিশন বলে আমার মনে হয়।
তিনি বলেন , আমি সবসময় বলি দুর্নীতিকে সম্পূর্ণভাবে দূরীভূত করা হয়তো সম্ভব নয়, তবে জনআকাক্সক্ষার মাত্রায় কমিয়ে আনা সম্ভব। এটা করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন আইনজীবীরা। #