দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ১১০ কোটি টাকা অর্থপাচারের মামলায় হাইকোর্টের জামিন স্থগিত করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সঙ্গে সঙ্গে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করারও নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
রোববার (২৫ এপ্রিল) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের আপিল বিভাগের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেটের চেয়ারম্যান মো. আনিসুর রহমানকে জামিন দিয়েছিল হাইকোর্ট। আমরা তার জামিনের আদেশের বিরুদ্ধে আপিলে আবেদন করেছিলাম। আপিল বিভাগ তার জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। আর লিভ পিটিশন শুনানির জন্য আগামী ২৭ মে দিন ধার্য রেখেছেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ৮ অক্টোবর হাইকোর্ট আনিসুর রহমানকে জামিন দিয়েছিলেন। এরপর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে আমরা আপিল বিভাগে আবেদন করি।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ছিলেন আবদুল মান্নান তালুকদার। পরে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে নিউ বসুন্ধরা রিয়েল এস্টেট লিমিটেড নামে একটি জমি কেনাবেচার প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।
ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হন তিনি। আর প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান করেন শহরের মিঠাপুকুরপাড় জামে মসজিদের ইমাম আনিসুর রহমানকে। প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকদের প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় ১১০ কোটি ৩১ লাখ ৯ হাজার ১৩৫ টাকা সংগ্রহ করে। টাকাগুলো প্রথমে বাগেরহাটের ১৬টি ব্যাংকের ৩০টি হিসাবে রাখা হয়।
পরে সেখান থেকে ওই টাকা তুলে পাচার করা হয় বলে দুদকের অভিযোগে বলা হয়েছে। এই টাকা কোথায় পাচার করা হয়েছে, তা জানতে দুদক অনুসন্ধান করছে। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের ৩০ মে বাগেরহাট শহরের আবদুল মান্নান তালুকদার ও আনিসুর রহমানের বিরুদ্ধে দুদক মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করে।
এ মামলায় ২০১৯ সালে আনিসুর রহমানকে কারাগারে পাঠায় বাগেরহাটের মুখ্য বিচারিক হাকিম। এরপর হাইকোর্ট থেকে ২০২০ সালের ৮ অক্টোবর জামিন নিয়ে বের হয়ে যান তিনি।#