দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দুদকের মামলায় বিচারিক আদালত অধিদপ্তরের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বজলুর রশীদের স্থাবর সম্পতি ক্রোক ও দুইটি ব্যাংক হিসাব জব্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালত উভয় পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনানির পর বজলুর রশীদের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার বিশেষ জজ-৫-এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ নির্দেশ প্রদান করেন।
দুদক সূত্র জানায়, ডিআইজি প্রিজন্স বজলুর রশীদের সমমর্যাদার আরেক কর্মকর্তার স্ত্রীর কাছ থেকে দুই দফায় নিয়েছেন ৬ লাখ টাকা। এছাড়া ঢাকায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা একজন কারারক্ষীর কাছ থেকে নিয়োগ-বাণিজ্যের ৫৮ লাখ টাকা নিয়েছেন বজলুর রশীদ নিজেই। আরেক কারারক্ষীর কাছ থেকে নেয়া হয়েছে ৩৮ লাখ টাকা।
জানা যায়, আজ ওই মামলায় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ (চার্জ) গঠন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। শুনানির আগেই আসামি বজলুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করতে শুনানি করেন।
অপরদিকে তার আইনজীবী অভিযোগ গঠন শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন করেন। আদালত সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে ২২ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের জন্য শুনানির দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী আসামির সব স্থাবর সম্পতি ক্রোক ও দুইটি ব্যাংক হিসাব ফ্রিজের আবেদন জানালে আদালত তা মঞ্জুর করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতে বজলুর আইনজীবী জামিনের আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন আদালত। তিনি বলেন,গত ২৬ আগস্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক নাসির উদ্দিন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন ।
তিনি আরো বলেন, ২০১৯ সালের ২০ অক্টোবর সকাল ১০টায় বজলুর রশীদ ও তার স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছিল দুদক। জিজ্ঞাসাবাদের পর বজলুরকে গ্রেফতার করা হয়।
দুদকের কাছে অভিযোগ ছিল, ঘুষের কোটি কোটি টাকা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আসত বজলুর রশীদের কাছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাঠানো এসব টাকা তুলেছেন তার স্ত্রী রাজ্জাকুন নাহার। জিজ্ঞাসাবাদে বজলুর সংশ্লিষ্টতার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় মামলা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযোগ রয়েছে, কারা সদর দফতরে ডিআইজি পদে থাকায় বজলুর রশীদ সারাদেশের বিভিন্ন কারাগার থেকে চাঁদার নামে নির্ধারিত রেটে ঘুষ নিতেন। এই টাকা যেত কুমিল্লার তৌহিদ নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি তা পাঠাতেন বজলুর রশীদের স্ত্রীর কাছে। কুমিল্লা থেকে তৌহিদ হোসেন মিঠুর পাঠানো টাকা এসএ পরিবহনের কাকরাইলের প্রধান অফিস থেকে শুধু মোবাইলে মালিকানা নিশ্চিত করে তুলে নেয়া হয়। #