দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
অবৈধ সম্পদ অর্জন ও দুর্নীতির মামলায় যুবলীগ নেতা এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম এবং যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
দুদকের করা মামলায় জিকে শামীম এবং খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুন।
রোববার (২৭ অক্টোবর ) ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে একই আদালত আসামিদের গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
২৩ অক্টোবর এ দুই আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। শামীমের রিমান্ড আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন এবং খালেদের রিমান্ড আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে রিমান্ড শুনানির জন্য রোববার দিন ধার্য করেন।
গত ২১ অক্টোবর শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ ও খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদের অর্জনের অভিযোগে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দায়ের করা হয়।
শামীমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, তিনি ২০১৮-২০১৯ করবর্ষ পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকার স্থাবর সম্পদের মালিক হয়েছেন। এর মধ্যে আয়কর নথিতে ৪০ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৪ টাকার তথ্য উল্লেখ করলেও মোট টাকার বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
এ ছাড়া, শামীমের বাসা থেকে উদ্ধারকৃত নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা ও ৭ লাখ ৪৭ হাজার টাকা সমমূল্যের বিদেশি মুদ্রা, শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের নামে ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকার এফডিআর, মায়ের নামে আরো ৪৩ কোটি ৫৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার ব্যবসার অংশীদার এবং জি কে বি অ্যান্ড কোম্পানির শেয়ার, গাড়ি ও এফডিআর বাবদ ৩৬ কোটি ৩৫ লাখ ১৮ হাজার ৭১৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পায়নি দুদক।
দুদকের অনুসন্ধানে জি কে শামীমের মা আয়েশা আক্তারের কোনো বৈধ আয়ের উৎসও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
মোট ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনে দায়ে দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে মা ও ছেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে, বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার স্থাবর সম্পদ ও ৯০ লাখ ১৬ হাজার ৭০৯ টাকার অস্থাবর সম্পদের বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
মোট ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে খালেদ মাহমুদেরে বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে মামলা করেন। #