দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
দেশের বহুল আলোচিত কক্সবাজারের টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ দাসের অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার চার্জশিট আমলে নিয়েছেন বিচারিক আদালত। একই সাথে আসামি প্রদীপের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন এবং এই মামলার অপর আসামি তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
দুদকের করা মামলায় আসামি প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকির বিরুদ্ধে চার্জশিটে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
আজ বুধবার (১ সেপ্টম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান শুনানি শেষে চার্জশিট আমলে নিয়েছেন।
আজ সকালে পুলিশের কড়া পাহারায় বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম-২-এর সহকারী পরিচালক মো: রিয়াজ উদ্দিন গত ২৬ জুলাই আদালতে দেয়া চার্জশিটে ৪৯ লাখ ৫৮ হাজার ৯৫৭ টাকা সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা তথ্য দেয়া এবং ২ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৪১৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অন্যকে হস্তান্তরের অভিযোগ আনেন প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে মোট ২৯ জনকে এ মামলায় সাক্ষী করা হয়েছে।
তবে এই চার্জশিট শুনানিতে প্রদীপের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বভু প্রসাদ বিশ্বাস দাবি করে বলেন, এই ঘটনার সাথে প্রদীপের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর চেকপোস্টের গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় অন্যদের সাথে ওসি প্রদীপকে আসামি করা হয়। পরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর থেকে কারাগারে রয়েছেন তিনি।
এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ ডিসেম্বর ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১৫-এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো: খায়রুল ইসলাম।
#