নিজস্ব প্রতিবেদক :
চাঁপাই নবাবগঞ্জ-৩ আসনে বিএনপির সংসদ সদস্য হারুন অর রশীদের বিরুদ্ধে ৫ বছরের সশ্রম কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন বিচারিক আদালত। পাশাপাশি তাকে ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
তার বিরুদ্ধে শুল্ক মুক্ত গাড়ি আমদানি সুবিধা নিয়ে পরবর্তীতে তা বিক্রি করে শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে দুদক মামলাটি করেছিল।
সোমবার ( ২১ অক্টোবর) ঢাকার বিশেষ জজ ৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন।
ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান বাপ্পীকে ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ২ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং গাড়ী ব্যবসায়ী আসামি ইশতিয়াক সাদেককে ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪০ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি গাড়িটি জব্দের আদেশ, অন্যথায় ৯৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় হারুন অর রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষনার পর সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দুই আসামি পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুজ্জামান আশিক এতথ্য জানা।
হারুন অর রশিদ সংসদ সদস্য থাকালে শুল্কমুক্ত গাড়ী এমপি কোটায় ২০০৫ সালের ১৯ এপ্রিল আমদানি করে। তদন্ত করে এস আর ও এর বিধি বিধান মেনে ১৫০ টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে অঙ্গীকার নামা ভঙ্গ করে শুল্ক বাবদ সরকারের ৮৭ লাখ ৭১ হাজার ৬১২ টাকা ফাঁকি দিয়ে সরকারের আর্থিক ক্ষতি করে।
২৬ এপ্রিল গাড়ীটি বিক্রি করে নিজে আর্থিকভাবে লাভবান হন। স্কাই অটোসের মালিক ইশতিয়াক সাদেকের মাধ্যমে এনায়েতুর রহিমের কাছে বিক্রি করেন।
এ ঘটনায় তেজগাঁও থানার এসআই ইউনুচ আলী ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন ২০০৭ সালের ১৮ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ২০ আগষ্ট আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। #