দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক রুবাইয়াত খালেক এবং তার পিতা ও পিএফআই সিকিউরিটিজের বিকল্প পরিচালক এম. এ খালেকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সাড়ে ৮ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়েরের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এই অনুমোদনের ফলে যে কোন সময় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দুদকের পক্ষ থেকে উপ-পরিচালক আবদুল মাজেদ বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করবেন।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দুদক পরিচালক ও তদারককারী কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ গণমাধ্যমকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দুদকের মামলার অপর আসামীরা হলেন; ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি ) পরিচালক শান্তনু সাহা,উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মো. হাফিজুর রহমান, এসএভিপি ও হেড অব ফিন্যান্স এইচআর মো. আনোয়ার হোসেন, সিনিয়র ম্যানেজার মনোরঞ্জন চক্রবর্তী, ক্রেডিট-ইন-চার্জ মোহাম্মদ রফিকুল আলম, সিনিয়র ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম এবং সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও কোম্পানি সেক্রেটারি শেখ খালেদ জহির এবং পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিকল্প পরিচালক এম. এ খালেক, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, উপ মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সেক্রেটারি মো. মুসফিকুর রহমান।
দুদকের অনুসন্ধান প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে পিএফআই সিকিউরিটিজের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স চারুশীলের সত্ত্বাধিকারী সেলিম আহমেদ নামে ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড থেকে ১০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুরি ও বিতরণ করিয়ে নেয়।
পরে পিএফআই সিকিউরিটিজের হিসাবে জমা দিয়ে ১০ কোটি টাকা থেকে ৮ কোটি ৬১ লাখ ৮৩ হাজার ৩৭৬ টাকা স্থানান্তর, পাচার, প্লেসমেন্ট ও লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসামীরা। আর এই অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ (২) ধারায় মামলা অনুমোদন দেওয়া হয়।
উল্লেখ , দুদকের এই মামলার আসামীদের মধ্যে পিএফআই সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিকল্প পরিচালক এম এ খালেক ও ফারইস্ট ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক রুবাইয়াত খালেক ইতোমধ্যে ফারইস্ট লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানির পক্ষ থেকে দায়ের করা মামলার আসামী এবং অর্থপাচারের অপরাধে সিআইডি পুলিশের দায়ের পৃথক মামলায় কারাগারে আছেন বলে জানা যায়। #