দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
দিনাজপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালযয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কৃষকদের নিকট থেকে সরকারিভাবে ধান ক্রয়ে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুদক।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি আরো জানান ,দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ আগত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিনাজপুর সমন্বিত জেলা কার্যালযয়ের উপসহকারী পরিচালক মো: সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদক টিম সংশ্লিষ্ট দপ্তরে উপস্থিত হলে, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা (ব্লক সুপারভাইজার) শাহীন দুদক টিমের উপস্থিতি টের পেয়ে অফিস থেকে সটকে পড়েন। তিনি মোবাইল বন্ধ করে দেন।
ভুক্তভোগী কৃষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক টিমকে জানান, উপজেলা কৃষি অফিস ও উপজেলা খাদ্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ পারস্পারিক যোগসাজশ করে যে সকল কৃষক ধান সরবরাহের জন্য লটারিতে জয়ী হয়ে টিকিট পেয়েছেন। অথচ ওইসব কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ না করে ঘুষের বিনিময় অন্যদের নিকট থেকে ধান সংগ্রহ করছে। ফলে প্রকৃত কৃষকরা বঞ্চিত হচ্ছেন।
দুদক কর্মকর্তা জানান, ধান সরবরাহকারীদের তালিকা এবং লটারীর মাধ্যমে টিকেট প্রাপ্ত কৃষকদের তালিকাসহ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে টিম কমিশন বরাবর প্রতিবেদন দাখিল করবে।
এদিকে সিলেটের সাহেব বাজার, ফড়িংউড়া কমিউনিটি ক্লিনিক-এ সেবা নিতে গিয়ে হয়রানি ও সরকারি ওষুধ বাইরের ফার্মেসীতে বিক্রয় করা হচ্ছে এমন অভিযোগের ভিত্তিতে আজ দুদকের সিলেট জেলা কার্যালয়-এর সহকারী পরিচালক মনজুর আলম চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে দুদক টিম উক্ত কমিউনিটি ক্লিনিক-এ চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিয়মের চিত্র দেখতে পায়। সরকারি ওষুধ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রি করার অভিযোগের সাথে সংশ্লিষ্ট ফার্মেসী তল্লাশি করেছে দুদক টিম।
এসময় ফড়িংউড়া কমিউনিটি ক্লিনিক-এর বেশ কয়েকজন সেবা গ্রহীতা দুদক টিমকে জানায়, উক্ত ক্লিনিকে ডাক্তার ঠিক মতো উপস্থিত থাকেন না। বিধায়; চিকিৎসাসেবা নিয়মিতভাবে পাওয়া যায় না। চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করাসহ সরকারি ঔষধ রোগীদের সরবরাহের জন্য দুদক টিম নির্দেশনা দেয়।
এছাড়াও, বিদ্যুৎ লাইসেন্স অফিস, সেগুনবাগিচা, ঢাকা কর্তৃক বিদ্যুৎ লাইসেন্স প্রদানের নামে ঠিকাদারদের নিকট থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা এবং ভূমি অফিস, সোনারগাঁও, নারায়ণগঞ্জ-এর বিরুদ্ধে ভূমির নামজারি ও মিস কেইস এর নামে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে আরও ০২ টি অভিযোন পরিচালনা করে দুদক।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনকে অবহিত করার নিমিত্ত জেলা প্রশাসক-রংপুর; জেলা প্রশাসক-গাইবান্ধা; জেলা প্রশাসক-মানিকগঞ্জ; জেলা প্রশাসক-পাবনা; উপজেলা নির্বাহী অফিসার-গংগাচড়া, রংপুর ও নির্বাহী প্রকৌশলী-সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম বরাবর পত্র প্রেরণ করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। #