দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
২০০৭ সালে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলার আসামী বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমান ও পুত্রবধু ডা. জুবাইদা রহমানের করা রিটের রুল শুনানির পিছিয়েছে। একই সঙ্গে আদালতে আসামী দন্ডপ্রাপ্ত তারেকের পক্ষে আইনজীবী নিয়োগ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছেন দুদকের আইনজীবী।
রোববার (২৯ মে) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত দ্বৈত বে আসামী পক্ষের আইনজীবীর সময় চেয়ে করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুল শুনানির জন্য ৫ জুন দিন রেখেছেন। রোববার আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। দুদকের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আদালতের বাইরে দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে জানান, আবেদনকারী পক্ষ শুনানির জন্য সময় চেয়েছেন। এ কারণে শুনানি পিছিয়ে ৫ জুন শুনানির দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ৩টি মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি তারেক রহমানের পক্ষে দুদকের বিচারাধীন মামলায় আইনজীবী থাকা নিয়ে আজকে একটি প্রশ্ন উঠেছে। যখন এ মামলায় রুল জারি হয়েছিল, তখন তারেক রহমান দন্ডপ্রাপ্ত ছিলেন না। কিন্তু বর্তমানে তারেক রহমান ৩ মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই অবস্থায় তার পক্ষে তার আইনজীবী উপস্থিত থাকতে পারেন কিনা সেটা হচ্ছে প্রশ্ন। আদালত বলেছেন-৫ জুন এ বিষয়ে শুনানি হবে।
দুদকের পক্ষ থেকে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় এ মামলা করা হয়। দুদকের মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। পরে একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এ মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন।
রুল জারির ১৫ বছর দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল রিট মামলা হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ওঠে। এরপর হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ২০ এপ্রিল দিন ঠিক করেন। কিন্তু বুধবার তারেক-জুবাইদার পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। পরে হাইকোর্ট শুনানির জন্য ২৯ মে দিন ঠিক করেন। #