দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলে অনুষ্ঠিত ১৯তম আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সম্মেলনে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের নেতৃত্বে দুদকের প্রতিরোধ অনুবিভাগের মহাপিরচালক এ কে এম সোহেলসহ ২৬জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ভার্চুয়াল মাধ্যমে অংশ গ্রহণ করেন।গত ৩০ নভেম্বর শুরু হওয়া এই কনফারেন্স আগামী ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
বুধবার (২ ডিসেম্বর) দুদকের পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রনব কুমার ভট্টাচার্য্য গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান। তিনি আরো জানান,
ওই সম্মেলনে সত্যতা, আস্থা ও স্বচ্ছতাই নিশ্চিত করবে-দুর্নীতিবিরোধী সংগ্রামকে, এমন ধারণাকে থিম করা হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ৫০০-এর বেশি (এন্টি করাপশন এক্সপার্ট) দুর্নীতি বিরোধী বিশেষজ্ঞারা ধারাবাহিকভাবে এসব আলোচনায় বক্তব্য রাখছেন।
এই সম্মেলনের মাধ্যমে দুর্নীতিবিরোধী এজেন্ডায় নতুন ধারণার সংযোজন ঘটবে বলে মনে করা হচ্ছে। ১৪০ টি দেশের ৩ হাজারেরও বেশি সরকারি কর্মকর্তা, একাডেমিশিয়ান, সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম, দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা, এনজিও প্রতিনিধিগণ এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করছেন।
গত ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন এই কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করলো। এই করফারেন্সে জাতিসংঘের মহাসচিবও বক্তব্য রেখেছেন।
এদিকে এই কনফারেন্সের ২৬টি গুরুত্বপূর্ণ সেশনে দুদকের ২৬জন কর্মকর্তাকে অংশগ্রহণের আদেশ দিয়েছে কমিশন।
এসব কর্মকর্তাগণ এসব বিশেষজ্ঞ বক্তাদের বক্তব্য শুনে দুর্নীতি দমনে নতুন নতুন যেসব অনুকরণীয় কার্য-পদ্ধতি পাবেন, তা প্রতিবেদন আকারে কমিশনের প্রতিরোধ বিভাগের মহাপরিচালকের নিকট পেশ করবেন। মহাপরিচালক এসব রিপোর্ট বিচার-বিশ্লেষণ করে কমিশনের জন্য অনুকরণীয় কর্মকৌশলসমূহ কমিশনে উপস্থাপন করবেন।
সম্মেলন প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, দুর্নীতির ধরন ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে। তথ্য-প্রযুক্তির উৎকর্ষ সাধনের মাধ্যমে বিশ্ব চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছে। প্রযুক্তির এই বিপ্লবে অন্যান্য চ্যালেঞ্জের মধ্যে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ পাচার, ট্যাক্স ফাঁকি নিয়ন্ত্রণ করা সত্যিই বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্যই আমাদের কর্মদক্ষতা আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে । বিপ্লবের সাথে নিজেদের তাল মিলিয়ে চলার জন্যই দুর্নীতি দমনে নতুন নতুন ধারণা আমাদেরকে গ্রহণ করতে। আমাদের নিজস্ব কার্য প্রক্রিয়ার কৌশলও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে পরিবর্তন করা সমীচীন।#