দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
রাজধানীর দক্ষিণখানে পরকিয়ায় জড়িত আসমা আক্তারের পরিকল্পনায় তার স্বামী আজহারকে হত্যা মসজিদের সেফটি ট্যাংকে ফেলে রাখা হয়। খণ্ডিত অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার হওয়ার পর এবার নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-১)।
মঙ্গলবার (২৫ মে) রাতে রাজধানীর আব্দুল্লাহপুর থেকে নিহতের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে, আসমা আক্তারই তার স্বামী আজহার হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী। তার পরিকল্পনাতেই আজহারকে গলাকেটে মরদেহ ছয় টুকরা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেন মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমান।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের সিনিয়র সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান জানান, হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনাকারী ভিক্টিমের স্ত্রী আসমা আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামীর হত্যাকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে সরাসরি হত্যাকাণ্ডে জড়িত মসজিদের ইমাম আব্দুর রহমানকে আটক করে র্যাব-১। আজহারের স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ার জেরে তাকে গলাকেটে মরদেহ ৬ টুকরা করে সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেন আব্দুর রহমান।
র্যাব জানায়, মাওলানা আব্দুর রহমান সরদারবাড়ি জামে মসজিদে ৩৩ বছর ইমামতি করে আসছে। ভিকটিম আজহারের চার বছরের ছেলে মসজিদের মক্তবে পড়াশোনা করতো। ভিকটিম নিজেও তার কাছে কোরআন শিক্ষা গ্রহণ করতেন। এই সুবাদ ভিকটিমের বাসায় প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন ইমাম।
আজহারের স্ত্রীর দিকে ইমামের কুনজর রয়েছে বলে ধারণা করেন আজহার। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ-বিতণ্ডা হয় এবং ইমামকে হুমকিও দেন আজহার। কিন্তু র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে কোনো সম্পর্ক থাকার কথা অস্বীকার করেছেন ইমাম। তবে হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
ঘটনার বর্ণনায় জানা যায়, গত ১৯ মে তারিখে আব্দুর রহমানের সঙ্গে ভিকটিম আজহারের কথা কাটাকাটি হয়। কথাকাটির এক পর্যায়ে ইমাম আব্দুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে আজহারের গলার ডানপাশে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে ভিকটিম ঘটনাস্থলে মারা যান।
পরবর্তীতে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার উদ্দেশ্যে মরদেহ টুকরো টুকরো করে মসজিদের সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে রাখে। #