দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
আফগানিস্তানের তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, তারা তুরস্কের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে চান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন টিআরটির আরবি চ্যানেলের কাছে বুধবার দেয়া এক সাক্ষাতকারে এই কথা বলেন তিনি।
এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান তালেবানের বিরোধিতার জেরে জানিয়েছিলেন, তারা এই বিষয়ে সংগঠনটির সাথে আলোচনা করবেন।
আর তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ সাক্ষাতকারে বলেন, ‘আমরা তুরস্কের সাথে সুসম্পর্ক চাই। তুরস্ক আমাদের ভাই, বিশ্বাসের দিক থেকে আমাদের অনেক মিল রয়েছে। আমরা চাই তুরস্ক অতীত থেকে বেরিয়ে বর্তমান ও ভবিষ্যতের দিকে ফিরে আসুক। এর পরই আমরা সংলাপের জন্য বসতে পারি।’
সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আফগানিস্তানের বর্তমান সমস্যার সমাধান ‘সমন্বিত ইসলামী সরকার’ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই হতে পারে। পাশাপাশি তিনি আফগানিস্তানে দীর্ঘ যুদ্ধের অবসানে রাজনৈতিক সমাধানে সকল মুসলিম দেশকে সহায়তার আহ্বান জানান।
জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানান, আফগানিস্তানে কাবুল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও কূটনীতিক মিশনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আফগানদের হাতেই থাকতে হবে। এর পরিবর্তে যে কোনো তৎপরতাকেই তালেবান দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচনা করবে।
মুজাহিদ আরো বলেন, কাবুল সরকার ও তালেবানের মধ্যে কাতারের রাজধানী দোহায় শুরু হওয়া সংলাপকে তারা স্বাগত জানিয়েছেন। তারা এই সংলাপের মাধ্যমে উত্তম ফলাফলের আশা করছেন।
এর আগে শনিবার দোহায় আফগান সরকার ও তালেবানের প্রতিনিধি দলের মধ্যে দুই দিনের এক সংলাপ শুরু হয়। কোনো মীমাংসা ছাড়াই রোববার সংলাপ শেষ হলেও যৌথ বিবৃতিতে উভয় পক্ষের প্রতিনিধি দল আলোচনা অব্যাহত রাখার কথা জানান।
সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব মার্কিন সৈন্য প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে কাবুলের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব নিতে আগ্রহ প্রকাশ করে তুরস্ক। আফগান সরকার এই বিষয়ে তুরস্ককে স্বাগত জানালেও দেশটির সশস্ত্র সংগঠন তালেবান এর নিন্দা জানায়।
# সূত্র : ডেইলি সাবাহ