দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
তালেবান কর্তৃপক্ষ আফগানিস্তানের নতুন সরকার ও প্রশাসনের অধীনে আগের সরকারে বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সাবেক সদস্যদেরকে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ।
আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এই আহ্বান জানান বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা এএফপি।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর যেসব সদস্য গত ২০ বছরে সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছেন এবং কাজ করেছেন, তাদেরকে তালেবান সদস্যদের পাশাপাশি নিরাপত্তা দফতরগুলোতে গিয়ে কাজে যোগ দিতে আহ্বান জানানো হচ্ছে।’
এর আগে ওই একই সংবাদ সম্মেলনে পাঞ্জশির উপত্যকা দখলের দাবি জানান তালেবান মুখপাত্র। তিনি বলেন, তালেবানের শাসনের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের বিদ্রোহ দৃঢ়ভাবে দমন করা হবে।
মুজাহিদ বলেন, ‘যেকোনো ধরনের বিদ্রোহের ব্যাপারে ইসলামিক আমিরাত খুবই সংবেদনশীল। কেউ বিদ্রোহ করতে চাইলে দৃঢ়ভাবে দমন করা হবে। এগুলো কখনোই করতে দেওয়া হবে না।’
তালেবানের এই মুখপাত্রের ভাষায়, ‘কেউ যদি অস্ত্র হাতে তুলে নেয় এবং বিদ্রোহ করে, তাহলে নিঃসন্দেহে সে আমাদের শত্রু।’
তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ শেষ হয়ে গেছে এবং আমাদের দেশ এই সংকট থেকে ধীরে ধীরে বের হচ্ছে। বর্তমান সময়টি আমাদের জন্য শান্তি, স্থিতিশীলতা ও পুনর্গঠনের। আমাদের এখন মানুষের সমর্থন প্রয়োজন।’
এদিকে তালেবানের শীর্ষ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা এখনও জীবিত আছেন এবং খুব শিগগিরই প্রকাশ্যে মানুষের সামনে আসবেন বলে জানিয়েছেন মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ।
তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের পর তিন সপ্তাহের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আখুন্দাজাদা এখনও প্রকাশ্যে না আসায় তার প্রকৃত অবস্থান বা জীবিত থাকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরপরই সোমবার তিনি ওই মন্তব্য করেন। ২০১৬ সালের মে মাসে তালেবানের শীর্ষ নেতার পদে আসেন আখুন্দজাদা।
বিবিসি জানিয়েছে, হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার বয়স ষাটের ঘরে এবং জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি আফগানিস্তানে কাটিয়েছেন বলে মনে করা হয়। তালেবানের শীর্ষ নেতা হিসেবে তিনি গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক, সামরিক ও ধর্মীয় ইস্যুর প্রধান হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন।#