দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলার বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার পক্ষে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দুদকের মামলা বাতিল চেয়ে আসামী পক্ষের করা রিট আবেদন খারিজ করেছেন উচ্চ আদালত।
রোববার (২৬ জুন) তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানকে পলাতক থাকায় তাদের পক্ষে করা রিট গ্রহণযোগ্য নয়, মর্মে আগের জারি করা রুল খারিজ করে দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলা দ্রæত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।
হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠি বে রোববার এ রায় ঘোষণা করেন।
রষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৯ জুন এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের ওপর জারি করা রুলের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আজ ( রোববার) দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট। তারই ধারাবাহিকতায় এ রায় ঘোষণা করা হয়।
ওই দিন আদালতে আজ রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী। আর রষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ।
২০০৭ সালের ওই মামলায় দীর্ঘ ১৫ বছর পর গত এপ্রিলে দুদকের আইনজীবী হাইকোর্টের একটি বেে রুল শুনানির জন্য উপস্থাপন করলে রুল শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। এরই ধারাবাহিকতায় এর শুনানি শুরু হয়।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ঘোষিত আয়ের বাইরে চার কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রাজধানীর কাফরুল থানায় করা মামলায় তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়।
একই বছরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী পৃথক রিট আবেদন করেন। রিটে জরুরি আইন ও এই মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করেন। হাইকোর্ট রুল জারি করে স্থগিতাদেশ দেন। এরপর রিট মামলাগুলো ১৯ এপ্রিল কার্যতালিকায় আসে। পরে রুল শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন হাইকোর্ট।
ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল রায় দেন হাইকোর্ট। রায়ে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে দেন। একই সঙ্গে জোবায়দা রহমানকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন জোবায়দা রহমান। গত ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ জোবায়দার এ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এর পরে ওই রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়। #