দূরবীণ নিউজ ডেস্ক :
অবশেষে ভারত তাবলীগ জামায়াতের আটক ২৬৫ জনের মধ্যে ১৪ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে।
শুক্রবার (৭ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন তাদের পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষ করে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসা প্রত্যেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ছিলেন। তারা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার বাসিন্দা। তাদেরকে ১৪ দিনের জন্য যশোরের ঝিকরগাছার গাজীর দরগাহের প্রাতিষ্ঠানিক হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
জানা যায়, এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাবলীগ জামাতের ২৬৫ জন কর্মী পাসপোর্ট নিয়ে ভারতে যান। এসময় ভারতে করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। এ অবস্থার মধ্যে তাবলীগ কর্মীরা সেখানে অবস্থান করছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর।
পরে সেদেশের পুলিশ তাদের আটক করে উত্তর প্রদেশের কেন্দ্রীয় জেলখানায় পাঠায়। সেখানকার আদালত তাদের এক মাস ১০ দিনের সাজা দেয়। সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে দুই দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে আলোচনার পর শুক্রবার রাতে তারা বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরে আসেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসিন খান জানান, ভারতে আটক তাবলীগ জামাতের ১৪ সদস্যকে ভারত আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ফেরত আসা তাবলীগ সদস্যরা করোনা আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষার জন্য ইমিগ্রেশন মেডিক্যাল অফিসে পাঠানো হয়। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের মেডিকেল অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, ফেরত আসা তাবলীগ সদস্যদের প্রাথমিকভাবে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়েছে।
যেহেতু তারা দীর্ঘদিন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গণজমায়েতের মধ্যে ছিলেন। তারপরও তারা ৪০ দিনের সাজাও ভোগ করেছেন। তাদের শরীরে করোনাভাইরাস আছে কিনা সেজন্য ১৪ দিনের জন্য সরকারি তত্ত্বাবধানে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। শঙ্কামুক্ত হলে ১৪ দিন পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কর্তৃপক্ষ।# কাশেম