দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি নেতাদের চোখ আর কান পরীক্ষা করার অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি বিএনপি সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ড্যাবকে এই কাজটি করতে বলেছেন।
শনিবার (৯ জানুয়ারি) জাতির উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ভাষণের বিএনপি নেতাদের সমালোচনার জবাবে তথ্যমন্ত্রী এই কথা বলেন।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আওয়ামী হকার্স লীগ আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় একথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আপনারা আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, ওয়ার্ল্ড মনিটর, জাতিসংঘের রিপোর্ট, দ্য ইকোনমিস্টের রিপোর্ট পড়ুন। আমি জানি আপনারা শিক্ষিত মানুষ, তবুও রিপোর্টগুলো পড়েন না। যেখানে দারিদ্র্য ছিল ৪১ শতাংশ, সেটি আজ ২০ শতাংশের নিচে। অতি দরিদ্র যেখানে ২৪ শতাংশ ছিল, সেটি আজ ১১ শতাংশে নেমে এসেছে।
এই রিপোর্ট উনারা পড়েন না। উনারা চোখ থাকতেও অন্ধ, তাই এরকম আচরণ করছেন। আমি অনুরোধ জানাবো, বিএনপির যে ডাক্তারদের সংগঠন আছে ড্যাব, তাদের অনুরোধ করবো রিজভী আহমেদ, মির্জা ফখরুলসহ যারা চোখ থাকতেও দেখেন না তাদের চোখ আর কান একটু পরীক্ষা করুন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ এগিয়ে গেছে সেটি তাদের সহ্য হয় না। পদ্মা সেতু হয়ে গেছে, সেটি তাদের সহ্য হয় না। তাই জননেত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের যে তথ্যচিত্র, যেটি উপস্থাপন করেছেন জাতির সামনে, যেটি শুনে জাতি আশায় বুক বেঁধেছে, সেটি শুনে তাদের সহ্য হচ্ছে না। সেটি নিয়ে সমালোচনা করছে। বিএনপিকে অনুরোধ করবো, অন্ধ এবং বধীরের মতো সরকারের সমালোচনা না করে আপনারা আত্মসমালোচনা করুন।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির রিজভী আহমেদ, মির্জা ফখরুল, মাঝে মধ্যে গয়েশ্বর বাবু, ডা. জাফরুল্লাহসহ আরও কয়েকজন আছেন তারা প্রেস ক্লাবে এসে বক্তব্য রাখেন।
আপনারা যে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছেন, গত তিনটি নির্বাচনে জনগণ আপনাদের ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে, সেই আত্মসমালোচনা করুন। নইলে আপনারা টিভি ক্যামেরা, নয়া পল্টনের অফিস আর প্রেস ক্লাবের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবেন। এর বাইরে যেতে পারবেন না।’
হাছান মাহমুদ বিএনপিকে উদ্দেশ করে আরও বলেন, ‘প্রথম দফায় পৌরসভার নির্বাচনে আপনারা দুটি আসনে জয়লাভ করেছেন। সেটি নিয়ে আগে আত্মবিশ্লেষণ করুন। যেদিন স্বাধীনতা পূর্ণতা পেয়েছে, অর্থাৎ ১০ জানুয়ারি, সেদিন বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছেন তারা।
এই কর্মসূচি একদিন আগে কিংবা পরেও দিতে পারতো। এর অর্থ হচ্ছে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রতি অবজ্ঞা করা। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে যে তারা পুরোপুরি বিশ্বাস করে না তার প্রমাণ।’
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী , ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, আওয়ামী হকার্স লীগের সাবেক সভাপতি এস এম জাকারিয়া হানিফ প্রমুখ।/