দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এশিয়ার সেরা ৪৮৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় স্থান পেয়েছে । বাংলাদেশের আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তালিকায় স্থান পায়নি। যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী ‘টাইমস হায়ার এডুকেশন’ গত বুধবার (৩জন) তাদের ওয়েবসাইটে ‘এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিং ২০২০’ শীর্ষক এই তালিকাটি প্রকাশ করেছে।
পাঁচটি সূচকে এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান যাচাই-বাছাই করে থাকে টাইমস হায়ার এডুকেশন। এগুলো হলো শিক্ষাদান (টিচিং), গবেষণা (রিসার্চ), গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশন), আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি (ইন্টারন্যাশনাল আউটলুক) এবং ইন্ডাস্ট্রি ইনকাম (শিল্পের সঙ্গে জ্ঞানের বিনিময়)।
পাঁচটি সূচকের মোট স্কোর ৫০০-এর মধ্যে ১২৩ দশমিক ২ পয়েন্ট অর্জন করে ৪০১তম স্থান অধিকার করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। তালিকায় প্রথম স্থানে থাকা চীনের সিনহুয়া ইউনিভার্সিটি পাঁচটি সূচকে ৪০০ দশমিক ৮ পয়েন্ট অর্জন করেছে।
র্যাঙ্কিংয়ে শিক্ষাদান সূচকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কোর ১৮ দশমিক ৭, গবেষণায় ১০ দশমিক ৭, গবেষণা-উদ্ধৃতিতে ১৬ দশমিক ৪, আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ৪০ দশমিক ৮ এবং ইন্ডাস্ট্রি ইনকামে ৩৬ দশমিক ৬। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি সূচকের মোট স্কোর ১০০।
এর আগে টাইমস হায়ার এডুকেশনের এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ২০১৬ সালে সেরা ২০০ ও ২০১৮ সালে সেরা ৩৫০-এর মধ্যে স্থান পেয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ওয়েবসাইটে র্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণে বিবেচিত ওই পাঁচটি সূচকের বিষয়ে বিশদ ব্যাখ্যাও রয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, শিক্ষাদান সূচকটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক মান অর্থাৎ র্যাঙ্কিংয়ে নির্ধারণের ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
খ্যাতি-জরিপ (টাইমস হায়ার এডুকেশনের উদ্যোগে পরিচালিত), প্রাতিষ্ঠানিক আয় আর একাডেমিক তথ্যের তিনটি অনুপাত মিলে এই ২৫ শতাংশ হিসাব করা হয়। দ্বিতীয় সূচক গবেষণায় দেখা হয় সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাকর্মের খ্যাতি-জরিপ, গবেষণা থেকে আয় এবং গবেষণার সংখ্যা ও মান।
র্যাঙ্কিং নির্ধারণে গবেষণাকে সামগ্রিক ৩০ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। ৩০ শতাংশ গুরুত্ব পাওয়া আরেকটি সূচক হচ্ছে গবেষণা-উদ্ধৃতি (সাইটেশনস)। এ ক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকাশিত কাজ বিশ্বব্যাপী গবেষকদের দ্বারা কতসংখ্যক বার উদ্ধৃত হয়। র্যাঙ্কিংয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ গুরুত্ব পায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক দৃষ্টিভঙ্গি।
এই সূচকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থী-কর্মী অনুপাতের সঙ্গে দেখা হয় আন্তর্জাতিক যুক্ততাও। সর্বশেষ সূচক ইন্ডাস্ট্রি ইনকামকেও র্যাঙ্কিংয়ে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ গুরুত্ব দেওয়া হয়। আবিষ্কার, উদ্ভাবন ও পরামর্শের মাধ্যমে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পকে সহযোগিতার সক্ষমতা দেখা হয় এই সূচকে। অর্থাৎ ব্যবসায়ীরা গবেষণায় অর্থ ঢালতে কতটা উৎসাহী এবং বাণিজ্যিক বাজারে বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে বিশ্ববিদ্যালয় কতটুকু সক্ষম, সেটিই এই সূচকের মূল কথা।
টাইমস হায়ার এডুকেশনের ৪৮৯ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই তালিকায় পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের ৫৬টি ও পাকিস্তানের ১৪টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থান পেয়েছে। এ ছাড়া জাপানের ১১০টি ও চীনের ৮১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গা হয়েছে এশিয়ার সেরাদের এই তালিকায়। # কাশেম