দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালত ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তাকসিম এ খানের নেওয়া টানা ১৩ বছরের বেতন, ভাতাসহ আনুষঙ্গিক সুবিধার হিসাব দাখিলের আদেশ বহাল রেখেছেন। এর আগে গত ১৭ আগস্ট ঢাকা ওয়াসার এমডি’র ১৩ বছরের গ্রহণ করা বেতন, ভাতা ও সুবিধার নামে কি পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তার হিসাব তলব করেন হাইকোর্ট। উচ্চ আদালত আগামী ৬০ দিনের মধ্যে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে এ হিসাব আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ অক্টোবর) হাইকোর্টের ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা ওয়াসার পক্ষ থেকে করা আবেদনের শুনানিশেষে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি বোরহান উদ্দিন আগের আদেশ বহাল রাখেন।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই ক্যাবের পক্ষে এই রিট আবেদন করা হয়। পরে গত ১৭ আগস্ট কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ওই রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ নির্দেশ দেন আদালত। স্থানীয় সরকার সচিব, ঢাকা ওয়াসা বোর্ডসহ সংশ্লিষ্ট বিবাদীদেরকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে ক্যাবের রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
গত ১৭ আগস্ট বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বে ওয়াসার এমডি’র গ্রহণ করা সুযোগ সুবিধাসহ যাবতীয় হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধে দাখিল করতে ঢাকা ওয়াসা বোর্ডকে নির্দেশ দেন।
ওইদিন হাইকোর্ট একইসঙ্গে তাকসিম এ খানকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অপসারণের বিষয়ে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। এছাড়া তাকে অপসারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া যতদিন পর্যন্ত তাকে অপসারণ করা না হবে ততদিন ২০১৫ সালের জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী তার বেতন নির্ধারণে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতেও রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এদিকে আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া বলেন, গত ১৩ বছর ওয়াসা বোর্ড বিভিন্ন রেজুলেশনের মাধ্যমে ব্যবস্থাপনা পরিচালককে কী পরিমাণ বেতন-ভাতা এবং টিএ-ডিএসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে তার হিসাব আগামী ৬০ দিনের মধ্যে হাইকোর্টে বিভাগে দাখিলের জন্য আবেদন করেছিলাম। আদালত তা অনুমোদন করেছেন। বিভিন্ন সময় আলোচিত এবং সমালোচিত হয়েছেন তাকসিম এ খান। ২০০৯ সাল থেকে ঢাকা ওয়াসার এমডি পদে রয়েছেন। প্রথম নিয়োগের পর থেকে মোট ছয়বার তার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। #