আবুল কাশেম, দূরবীণ নিউজ:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের(ডিএনসিসি) মেয়র মো.আতিকুল ইসলাম বলেছেন,এবার প্রাণঘাতি করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে কোরবানির ঈদ এবং কোরবানীর বর্জ্য দ্রুত অপসারণ ছিল বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং। এখানে মহামারির চ্যালেঞ্জ ছিল। থেমে থেমে বৃষ্টির পাশাপাশি আবার প্রচন্ড গরম। সবকিছু মিলিয়ে সিটি করপোরেশনের কাছে এবারের ঈদ চ্যালেঞ্জিংটা সত্যিই বড় ছিল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এবার আগে থেকেই মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম ও ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমানের কড়া নির্দেশনার আলোকে উপ প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মফিজুর রহমান ভূঁইয়ার সার্বক্ষণিক তদারকি, আঞ্চলিক ও মাঠ পর্যায়ের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা ছিলেন অনেক সতর্ক। এছাড়া এবার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমে রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা সম্পৃক্ত ছিল । সবার আন্তরিকতা এবং সহযোগিতার ফলেই এই সফলতা এসেছে বলে, জানান ডিএনসিসির কর্মকর্তারা।
সেই সাথে এবার পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শকরাও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে শতভাগ কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছেন। নগরীতে কোরবানী পশু জবাইয়ের সাথে সাথে দ্রুত বর্জ্য অপসারণের জন্য দলে দলে কর্মকর্তা ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা নেমে পড়েছেন। তাদের সেবায় নগরবাসীও এবার বেশ সন্তোষ্ট বলে জানা যায়।এদিকে সোমবার (৩ আগস্ট) বিকালে গণমাধ্য এবং নগরবাসীর উদ্দ্যেশে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় ডিএনসিসির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এ কথা বলেন।
মেয়র বলেন,চ্যালেঞ্জিংএ সফলতার পেছনে রয়েছে, ডিএনসিসির বর্জ্য ব্যস্থপানা কর্মকর্তা, কর্মচারী , পরিচ্ছন্ন কর্মী, নির্বাচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর, মিডিয়ার এবং নগরবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা এবার দ্রুততম সময়ের মধ্যে শতভাগ কোরবানীর বর্জ্য অপসারণ সম্ভব হয়েছে।
ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ‘আমি সব কাউন্সিলর, সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য, কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে ধন্যবাদ জানাই। তারা অত্যন্ত পরিশ্রম করে রাতদিন খেটে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেছেন। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, এই ঢাকা শহরে আমরা কোনও ময়লা-আবর্জনা ফেলবো না।’
মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন আমরা এবার প্রথমবারের মতো কোরবানি দেওয়ার জন্য ৪০০টি নির্দিষ্ট স্থানের ব্যবস্থা করেছি। এখানে অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ ছিল। আমরা মনে করি, আগামীতে আপনারা নির্ধারিত স্থানে পশু কোরবানি দেবেন এবং আমরা চাই সুন্দর ঢাকা শহর গড়তে।’ডিএনসিসির মেয়র আরও বলেন, ‘ঢাকা শহর থেকে আমরা উপার্জন করি। আমাদের বাচ্চারা এই শহরে পড়াশোনা করে। তারা বড় হচ্ছে ঢাকা শহরে। এই শহরকে পরিষ্কার করা আমাদের দায়িত্ব। আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি, এই ঢাকা শহরে কোনও ময়লা-আবর্জনা ফেলবো না। ঢাকা শহরের নিয়ম-কানুন আমরা মেনে চলবো।’
আরো জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন থেকে কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নিজস্ব ২,৬৬৭ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনাসহ সর্বমোট ১১,৫০৮ জন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিরলস পরিশ্রম করে ঢাকা শহরকে বর্জ্য মুক্ত করেছেন। সকল স্তরের কর্মকর্তা এবং কর্মচারীগণ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে বর্জ্য অপসারণের কাজে জড়িত ছিলেন।
সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও পরিচ্ছন্নতা কর্মীদেরকে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও সহযোগিতায় কোরবানির প্রথম দিন ডিএনসিসি এলাকার বিপুল পরিমাণ বর্জ্য সকল ওয়ার্ড থেকে ২৪ ঘন্টার কম সময়ে অপসারণ করা হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেয়রের পক্ষ থেকে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এম সাইদুর রহমান ধন্যবাদ ও আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। # কাশেম