দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাস্তা ও ফুটপাতে দোকান পাট তৈরি কিংবা গাড়ি পাকিংয়ের জন্য কারা, কিভাবে ইজারা কিংবা বিক্রি করেছেন, তাদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। আদালত আগামী দুই মাসের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার ইজারাদাতা বা বিক্রেতাদের তালিকাসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা সিটি করপোরেশন এবং রাজউককে নির্দেশ দিয়েছেন ।
মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার (২১ নভেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কাজী ইজারুল হক আকন্দের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বে রুলসহ এ আদেশ জারি করেন।
উচ্চ আদালত একইসঙ্গে ফুটপাত যারা অবৈধভাবে ইজারাদাতা দিয়েছেন বা বিক্রি করছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তার জবাব চেয়ে রুল জারি করেছেন। রিটে বিবাদী করা হয়েছে রাজউক এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
উল্লেখ্য, রাজধানীতে বিভিন্ন রাস্তার ওপরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং গাড়ি পার্কিং বন্ধের হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করায় অভিযোগে রাজউক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে গত ১৭ নভেম্বর লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদের পাঠানো নোটিশে উল্লেখ করা হয় নোটিশ প্রাপ্তির ৭ দিনের মধ্যে হাইকোর্টের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ২০১৫ সালে জনস্বাথে রাস্তার ওপরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং গাড়ি পার্কিং বন্ধের হাইকোর্র্টে রিট আবেদন করা হয়। ২০১৯ সালের ৩ জুলাই হাইকোর্ট আগের জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বেশ কিছু নির্দেশনাসহ রায় ঘোষনা করেন।
রায়ের নির্দেশনায় রাজধানীতে সড়কের পাশে যেসব ভবনে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় রাজউকের নকশাবহির্ভূতভাবে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকান তৈরি করা হয়েছে সেগুলো এক মাসের মধ্যে ভেঙে ফেলতে ভবন মালিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়। ভবন মালিকরা তা না করলে ৬ মাসের মধ্যে তা করতে রাজউককে নির্দেশ দেওয়া হয়। আর অবৈধ স্থাপনা ভাঙার খরচ সংশ্লিষ্ট ভবন মালিকের কাছ থেকে আদায় করতে রায়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছে। # কাশেম