দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা নন সাবমিশন মামলায় বিচারিক আদালতের ডেসটিনি গ্রæপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে দেওয়া ১০ বছরের কারাদÐ ও অর্থদÐের রায় স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালত তাকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদÐ দিয়েছিলেন।
একই সঙ্গে মোহাম্মদ হোসেনের করা আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন উচ্চ আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে পাঠানো নোটিশের আলোকে সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল না করায় এই মামলাটি দায়ের করা হয়েছি।
মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বে এই আদেশ দেন। আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান।
এর আগে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় মোহাম্মদ হোসেনের পক্ষে করা আপিল আবেদনে জামিনের জন্য আর্জি জানানো হয়। একই সঙ্গে খালাস চেয়েও আপিল করেন তিনি। মোহাম্মদ হোসেনের আপিলের বিষয়টি গত৭ নভেম্বর গণমাধ্যমকে জানান দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
গত ১২ মে দুদকের দায়ের করা মামলায় মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদÐের আদেশ দেন আদালত। এছাড়া তাকে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদÐ দেন আদালত।
ওইদিনই ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির গ্রাহকদের চার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রæপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রফিকুল আমীনের ১২ বছরের কারাদÐ দেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ২০০ কোটি টাকা জরিমানা করা হয়।
একই সঙ্গে গ্রæপের চেয়ারম্যান সাবেক সেনাপ্রধান হারুন-অর-রশিদের চার বছরের কারাদÐের আদেশ দেওয়া হয়। কারাদÐের পাশাপাশি তাকে ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদÐের আদেশ দেন আদালত। মামলার বাকি ৪৩ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদÐ দেওয়া হয়। ঢাকার চতুর্থ বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম এ রায় ঘোষণা করেন। #