দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ডেঙ্গু থেকে নগরবাসীকে সুরক্ষা দিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ৮টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি)। রোববার (১০ মে) ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
তিনি জানান, মোবাইল কোর্টগুলো – আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-১) জুলকার নায়নের নেতৃত্বে উত্তরায়; আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-২) এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে মিরপুরে, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৩) মীর নাহিদ আহসানের নেতৃত্বে তেজগাঁওয়ে; নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুর্শিদুল ইসলামের নেতৃত্বে মিরপুরে; আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৫) মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে রাজাবাজার এলাকায়; আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৬) সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে উত্তরায়; আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৭ ও ৮) আবেদ আলীর নেতৃত্বে উত্তরখানে; এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসিলিনা পারভীনের নেতৃত্বে মিরপুরে পরিচালনা করা হয়।
ডিএনসিসি অঞ্চল-১ (উত্তরা) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন উত্তরা ৬ ও ৮ নম্বর সেক্টরে মোট ১২ টি নির্মাণাধীন ভবন, প্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময়ে ২ টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ডিএনসিসির মশককর্মীগণ সেখানে কীটনাশক প্রয়োগ করে তা ধ্বংস করে। তবে মালিকগণ ভবিষ্যতে এ বিষয়ে আরো সচেতন থাকবেন মর্মে অঙ্গীকার করায় কোনো জরিমানা করা হয়নি। এছাড়া মালিক ও কেয়ারটেকারবিহীন একটি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে সে বাসায় নোটিস প্রদান করা হয়।
অঞ্চল-২ (মিরপুর-২) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজম মিরপুরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ১৯ টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া গেলে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। এছাড়া আরো ৪ টি স্থাপনার মালিককে নোটিস প্রদান করা হয়।
অঞ্চল-৩ (মহাখালী) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মীর নাহিদ আহসান তেজগাঁও শিল্প এলাকায় মোট ১৫ টি অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ২ টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ থাকায় সেগুলো পরিষ্কারের জন্য ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২৪ ঘন্টা সময় দেওয়া হয়।
অঞ্চল-৪ (মিরপুর) মিরপুরের বড়বাগ, মনিপুর, পীরেরবাগ, সেনপাড়া পর্বতা, কাফরুল, ইব্রাহিমপুর, কচুক্ষেত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুর্শিদুল ইসলাম। এসময় প্রায় ১০০ বাসা-বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি।
অঞ্চল-৫ (কারওয়ান বাজার) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ হোসেন পূর্ব রাজাবাজার এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৫ টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করা হয়। নির্মাণ প্রতিষ্ঠান DOM-INNO এর নির্মাণাধীন একটি ভবনে খুবই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করায় নিয়মিত মামলার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়। উল্লেখ্য, গতবছর একই প্রতিষ্ঠানকে ৩বার জরিমানা করা হয়েছিলো। এছাড়া অপর একটি প্রতিষ্ঠান Union Development Co. কে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
অঞ্চল-৬ (হরিরামপুর) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিন উত্তরা ১২ নম্বর সেক্টরে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ৭টি ভবন ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়। তবে কাউকে জরিমানা করা হয়নি। অভিযান চলাকালে রাস্তায় ফেলে রাখা ডাবের খোলা, পরিত্যক্ত পাত্র ও বিভিন্ন দোকানের সামনে জমা পানি অপসারণ করে তাদেরকে সতর্ক করা হয়।
ডিএনসিসি অঞ্চল-৭ ও ৮ (উত্তরখান ও দক্ষিণখান) এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী উত্তরখানের মাজার রোড এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। এসময়ে কোন এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়নি। তবে এলাকাবাসীকে এ বিষয়ে সচেতন করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোসলিনা পারভীন মিরপুরের পল্লবী এলাকায় নির্মাণাধীন ৩টি ভবন পরিদর্শন করে ২ টিতে এডিস মশার বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়ায় ৫ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযান চলাকালে সাংবাদিকবৃন্দ, স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ এবং ডিএনসিসির স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ উপস্থিত ছিলেন। # কাশেম।