দূরবীণ নিউজ ডেস্ক:
প্রধাননমন্ত্রী শেখে হাসিনা বলেছেন,ডিজিটাল আইন যখন গড়ে তুলেছি, তখন ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়াটাও আমাদের কর্তব্য।
তিনি বলেনর, এ দায়িত্ব পালন করতে হবে, ছোট শিশু থেকে যুবক কেউ যেন বিপদে না পড়ে, অসমাজিক কার্যকলাপ, জঙ্গিবাদ বা কোনও ধরনের কিছুর সঙ্গে যেন জড়িত হতে না পারে।
শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের জন্য জাতিসংঘের চূড়ান্ত সুপারিশ লাভ করায় প্রধানমন্ত্রী এই সংবাদ সম্মেলন করেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে সাংবাদিক ও লেখকদের হয়রানি চলছে, এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রধাননমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডিজিটাল নিরাপত্তা দেওয়া একান্ত অপরিহার্য।
আজকের দিনে বেশি কিছু বলতে চাই না। সমালোচানা যারা করছেন তারা করবেই। কারা সবচাইতে বেশি সমালোচান করছেন সেটা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন। তারা কি বাস্তব পরিস্থিতি একবার উপলব্ধি করতে পারে বা করেছে? তারাতো সেটা করছে না। আজ শুভ দিন, আমি অন্য কোনও কথা বলতে চাই না।
তিনি আরও জানান, আমার বয়স ৭৫ বছর। সেই স্কুল জীবন থেকেই তো রাস্তায় নেমেছি। ৬২ সাল থেকে পথে পথে মিছিলে মিছিলে যোগ দিয়েছি। কাজেই এ দেশের সবাইকে আমার মোটামুটি চেনা আছে-শুধু আমি এই টুকু বললাম। কে কোথায় কি বলে সেটা আমার জানা আছে। কারও মৃত্যু কাম্য নয়, কিন্তু মৃত্যু কেন্দ্র করে কোনও অশান্তির সৃষ্টি করাও কাম্য না।
বাংলাদেশে ৩ নভেম্বর জেলখানায় চার জাতীয় নেতাকে নির্মমভাবে হত্য করা হয়েছিল। তো সেরকম কোনও ঘটনাতো ঘটেনি এখনও। যারা সে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছিল তাদের সঙ্গেতো অনেকেই গাটছাড়া বেঁধেছিল আমি দেখেছি। এখন কেউ অসুস্থ হলে মারা গেলে কী করার আছে।
এসময় সাংবাদিক জই মামুন প্রধানমন্ত্রীর জানতে চান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োজনীয়তার কথা আপনি বলেছেন। আমরা স্বীকার করি, অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে। কিন্তু এ আইনের কিছু কিছু অপপ্রয়োগও হচ্ছে।
একজন লেখকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। এরকম ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য আপনার তরফ থেকে যদি স্পষ্ট করে সর্তকবানী থাকে তাহলে আইনের অপপ্রয়োগ বন্ধ হতে পারে বলে অনেকে মনে করেন।/