দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
রাজধানীর পুরান ঢাকার নীলক্ষেতের রোডসাইড মার্কেটের লেপ তোষকের মার্কেটের ১৮৮ টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)।
রোববার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। নকশাবহির্ভূতভাবে ওই মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় ১৮৮টি অবৈধ দোকান নির্মাণ করেছিলেন ব্যবসায়ীরা। ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, নীলক্ষেত লেপ তোষকের মার্কেটের ১ম তলায় শুধু ৩৫টি দোকানই বৈধ। এছাড়াও তিন তলা মার্কেটের ২য় ও ৩য় তলা ৭৫টি করে মোট ১৫০টি এবং ১ম তলায় বৈধ ৩৫টি দোকানের সাথে অবৈধভাবে ৩৮টি দোকান স¤প্রসারণ ও নির্মাণ করা হয়। সবমিলিয়ে ওই মার্কেটে মোট ১৮৮টি অবৈধ দোকান রয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার ঢাকা দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ২৬নং ওয়ার্ডস্থ নীলক্ষেত ওই মার্কেটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ১৮৮টি অবৈধ দোকানের সব ক’টি উচ্ছেদ করা হয়।
তবে ওই মার্কেটের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদ করার খবর পেয়ে আগেই দোকানিরা সকাল থেকেই নিজ উদ্যোগে মালামাল সরিয়ে নিয়েছেন। দুপুর ১২টার দিকে যখন ডিএসসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান শুরু করেনে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান দ্রæত মালামাল সরাতে এবং অবৈধ দোকানগুলো ভাঙতে নির্দেশনা দেন।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বলেন, এ উচ্ছেদে ডিএসসিসির প্রায় ৫০ জন শ্রমিক মার্কেট ভাঙার কাজে অংশ নেন। এই কাজের জন্য একটি পে-লেডার, একটি হুইল এক্সাভেটর, হাইড্রোলিক লেডার এবং দুটি ডাম্পট্রাক আনা হয়। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ২২ সদস্য ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে অভিযানে অংশ নেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, আগে তুলা মার্কেটে ৩৫টি বৈধ দোকান ছিল। সেগুলো ভেঙে নতুন করে ১৮৮টি দোকান তৈরি করা হয়। এজন্য সিটি করপোরেশন থেকে অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়া হয়। বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের নির্দেশে এই অবৈধ দোকানগুলো উচ্ছেদ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এই মার্কেটের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় দোকান তৈরিতে কোনো নিয়ম মানা হয়নি। ভবনটি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। ডিএসসিসির একাধিক তদন্ত কমিটি ভবনটির ওপরের অংশ ভেঙে ফেলার সুপারিশ করেছে।
অভিযান প্রসঙ্গে করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “নীলক্ষেত তুলা মার্কেটের বৈধ ৩৫টি দোকানের উপর ভিত্তি করে একটি অসাধু চক্র নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৮৮টি অবৈধ দোকান নির্মাণ ও স¤প্রসারণ করেছে। অভিযানে ১ম তলার বৈধ ৩৫টি দোকান বাদে বাকী সকল অবৈধ দোকান ভেঙে ফেলা হবে। সকল অবৈধ দোকান ভেঙে মাটির সাথে মিশানের আগ পর্যন্ত উচ্ছেদ অভিযান চলমান থাকবে।” # কাশেম