দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
লকডাউনের শর্তাবলি তদারকিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১০টি অঞ্চলে একযোগে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের পাশাপাশি ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামান এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা মোবাইল কোর্টে নেতৃত্ব দেন।
মঙ্গলবার (৬ এপ্রিল) পরিচালিত মোবাইল কোর্ট স্বাস্থ্য বিধি না মানা এবং কিছু স্থাপনায় মশার লার্ভা পাওয়ায় দেড় লক্ষাধিক টাকা জরিমানা আদায় করেন।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন ডিএসসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।
তিনি জানান,আজ মঙ্গলবার আঞ্চল-১ এর আনিক মেরিনা নাজনিন ধানমণ্ডি ও হাতিরপুল এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে তিনি সাত মসজিদ রোডের ইউনিমার্টসহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্ট ও খাবার দোকানে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা ভঙ্গ করে খাবার পরিবেশন করায় মোট ৬টি মামলা দায়ের এবং নগদ ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। পরে আঞ্চল-১ এর আনিক মেরিনা নাজনিন হাতিরপুল এলাকায় রাস্তার উপরে অবৈধভাবে প্রতিষ্ঠিত কাঁচাবাজার সরিয়ে দেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তানজিলা কবির ত্রপা নগরীর ধানমণ্ডি এলাকায় ১৬টি নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে ২টি ভবনের বেজমেন্টে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২ ভবন মালিকের বিরুদ্ধে ২টি মামলা দায়ের ও নগদ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
পরে ম্যাজিস্ট্রেট ত্রপা বাংলামোটর এলাকায় রাস্তার উপর পাকা ভবনের ভাঙা রাবিশ ফেলে রাখতে দেখতে পান। এ সময় রাবিশসহ রাস্তা বন্ধ করে রাখা মালামাল সরিয়ে নেওয়ার শর্তে ভবন মালিক মুচলেকা দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং পরবর্তীতে রাস্তার উপর যেন এ ধরনের রাবিশ না রাখা হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেন।
সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে নির্মাণাধীন ২৫টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় আদালত দুটি ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলা দায়ের এবং নগদ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও ডিএসসিসির অন্যান্য অঞ্চলেও মোবাইল কোর্ট এবং অভিযান পরিচালিত হয়েছে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি