দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি ) অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ক্যাবল অপসারণ এবং এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমান আদালতসহ জোরালো অভিযান চলমান রয়েছে। ডিএসসিসি’র চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৭টি মামলা দায়ের ও ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং দু’জনকে ১০ দিন করে জেলের দণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর ) ডিএসসিসির আওতাধীন অঞ্চল-১, ৪ ও ৫ নং অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় পৃথক ৪টি ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
ডিএসসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ সেগুনবাগিচা, দুদক কার্যালয় ও হিসাব রক্ষণ অফিসে সামনে অবৈধভাবে রাস্তা দখল করে কার রিপিয়ারিং করার অপরাধে ২টি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এরপর ইরফান উদ্দিন আহমদের নেতৃত্বাধীন গুলিস্তান পর্যন্ত ফুটপাত দখল করে অস্থায়ী ও অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় মোঃ সোহেল ও মোঃ ফরহাদ নামের দুই ব্যক্তিকে ১০ দিন করে জেল প্রদান করা হয়। দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৮৬ নং ধারায় মোঃ সোহেলকে সরকারি কাজে বাধা দান করা ও ১৮৮ নং ধারায় মোঃ ফরহাদকে সরকারি নির্দেশ অমান্য করায় দু’জনকেই ১০ দিন করে জেলের আদেশ প্রদান করেন।
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত নগর ভবন পেছন থেকে চানখারপুল পর্যন্ত ৭টি ইলেকট্রিক পোল থেকে অবৈধ ক্যাবল অপসারণ করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোঃ ফয়সালের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত নগরীর ১৯ নং ওয়ার্ডের রমনা এলাকায় মশার প্রজননস্থল চিহ্নিতকরণে অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৩৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৩টি মামলা দায়ের ও ৪০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন।
অঞ্চল-৪ এর বংশাল এলাকায় ডিএসইসিসি’র নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফেরদৌস আহমেদের নেতৃত্বাধীন ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার প্রজননস্থল শনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি ৩৬টি স্থাপনা পরিদর্শন করেন এবং ২টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলা দায়ের ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।