দূরবীন নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) নতুন সংযোজন করলেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তিনি এবার ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিকদের সেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে চালু করছে “কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর” টিমের কার্যক্রম ।
তবে সেবা কার্যক্রমের রয়েছে ডিএসসিরি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সড়ক বাতি, মশক নিয়ন্ত্রণ, সড়ক মেরামত সহ নানা সমস্যার জরুরী সমাধান। সেই সাথে সেবা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের জন্য “কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর” টিমের কার্যক্রম শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ডিএসসিসির নগরভবন চত্বরে মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নাগরিক সেবার মানোন্নয়নে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে নিয়োজিত ১,৮০০ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডরের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।
এই অনুষ্ঠানে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো: ইমদাদুল হক, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক এয়ার কমোডোর জাহিদ হোসেন, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বি:জে: ডা: শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী রেজাউল করিম এবং ৭৫টি ওয়ার্ড থেকে আসা কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডরসহ কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিতি ছিলেন।
মেয়র সাঈদ খোকন ডিএসসিসির এম্বাসেডরদের ওয়ার্ড পর্যায়ে নাগরিক সেবা প্রাপ্তি সহজ এবং নিশ্চিত করতে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। ডিএসসিসির ৭৫ টি ওয়ার্ডে প্রায় ১৮০০ জন কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর টিমের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন।
প্রতিটি ওয়ার্ডকে চার/পাঁচটি ইউনিটে ভাগ করা হয়েছে। প্রতি ইউনিটে ৭ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। রোস্টার অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবীরা তাদের আওতাধীন এলাকার রাস্তা, ড্রেন, সড়ক বাতিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম ঘুরে দেখবেন। আর সে অনুযায়ী একটা রিপোর্ট, পরামর্শ ও অভিযোগ তুলে ধরবেন যোগাযোগের জন্য গ্রুপে।
এই গ্রুপটি পরিচালনা করার জন্য সংস্থাটির ৫টি অঞ্চলের প্রধানরা সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করবেন। যে বিষয়ে অভিযোগ আসবে সেগুলো সেই অঞ্চলের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চলে যাবে। নাগরিকরা www.dscc.gov.bd তে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারবেন।
উত্থাপন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্বেচ্ছাসেবীদের পরামর্শ ও রিপোর্ট পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট আন্চলিক কার্যালয়সমূহ হতে এসবের দ্রুত দ্রুত সমাধান দেওয়া হবে। এর ব্যত্যয় হলে দায়ীদের শাস্তির আওতায় আনা হবে। বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে এসব সমস্যার কথা তুলে ধরবেন এসব কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর।
স্বেচ্ছাসেবী বা কমিউনিটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এসব টিমে থাকবেন ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতাকর্মী, অবসরপ্রাপ্ত চাকরিজীবি, মসজিদের ইমাম, মন্দিরের পুরোহিত ছাড়াও সরকারি বেসরকারি চাকরিজীবীরা।
অভিযোগ, পরামর্শ ও রিপোর্ট পাঠানোর জন্য স্বেচ্ছাসেবীদের পরিচয়পত্র এবং লগ বুক দেওয়া হবে পাশাপাশি যোগাযোগের স্বার্থে স্বেচ্ছাসেবীদের সবাইকে ক্লোজ গ্রুপে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
ফলে যে কোন এলাকায় নাগরিক সেবা কার্যক্রমের ধীর গতি,অসঙ্গতি, অভিযোগ খুব সহজেই জানতে পারবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন। সেই সঙ্গে তাৎক্ষণিক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সংস্থাটি। #