দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা মহানগরীতে সড়ক দূর্ঘটনা ও মৃত্যু কমিয়ে আনার লক্ষ্যে ডিএনসিসি এবং ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস আগামী ২০২৫ সাল পর্যন্ত সহযোগিতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে। সারাবিশ্বে প্রতি বছর সাড়ে ১৩ লাখের বেশি মানুষ সড়কে নিহত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১১ মার্চ) ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটির (BIGRS/বিগ-আরএস) কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়েছে।
ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিএনসিসির মেয়র জনাব মোঃ আতিকুল ইসলাম ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস-এর প্রতিনিধি কেলি লার্সন এবং অন্যান্য সহযোগী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের স্বাগত জানান।
উদ্বোধনী বক্তব্যে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন , ২০১৮ সালের ২৯ জুলাই এয়ারপোর্ট রোডের কুর্মিটোলায় একটি বেপরোয়া গতির বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় ফুঁসে ওঠা শিক্ষার্থীদের সড়ক নিরাপত্তা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সড়ক নিরাপত্তার বিষয়গুলো বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে।
বৃহত্তর সহযোগিতা ও সমন্বয়ের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরীতে সড়ক দূর্ঘটনায় ও হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনার জন্য তিনি ডিটিসিএ, ডিএমপি, বিআরটিএ, বুয়েট-এর এআরআই-এর প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, “আমি আশা করি আগামী পাঁচ বছরের পরিকল্পনা অনুযায়ী সড়ক নিরাপত্তা কৌশল ও কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমরা আরো বাসযোগ্য, নিরাপদ ও সহিষ্ণু ঢাকা গড়ে তুলতে পারবো।
তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও বিগ-আরএস কার্যক্রমের কারিগরি প্রধান ড. তারিক বিন ইউসুফ ডিএনসিসির সার্বিক সড়ক নিরাপত্তার বিষয়গুলো উপস্থাপন করেন।
সারা বিশ্বে সড়ক দূর্ঘটনার প্রধান কারণ, গাড়ির গতিবেগ নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রমকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস-এর পার্টনারশিপ ফর হেলদি সিটিজ’র আওতাভুক্ত সড়ক নিরাপত্তা কার্যক্রমের সহযোগী হিসেবে ডিএনসিসিতে কাজ অব্যাহত রাখবে।
ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ), ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইন্সটিটিউট (এআরআই)-এর প্রতিনিধিরাও সভায় অংশগ্রহণ করেন।
আলোচকরা জানান, নিরাপদ সড়ক চাই-এর তথ্যমতে, ২০১৯সালে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার সড়ক দূর্ঘটনায় ৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত এবং আরো প্রায় ৭ হাজার মানুষ আহত হয়েছে।
সহযোগীসংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা, ভাইটাল স্ট্যাটেজিস,গ্লোবাল রোড সেফটি পার্টনারশিপ(জিআরএসপি), ওয়ার্ল্ড রিসোর্স ইন্সটিটিউট (ডব্লিউআরআই), জনস হপকিন্সইউনিভার্সিটি ইন্টারন্যাশনাল ইনজুরিরিসার্চ এবং দেশীয় পর্যায়েরসংস্থা (জিএইচএআই/বিশ্ব ব্যাংক/ বিশ্ব স্বাস্থ্যসংস্থা)।
ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস-এর প্রতিনিধি কেলি লার্সন বলেন, “সড়ক দূর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা কমিয়ে আনতে ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রোপিস ইনিশিয়েটিভ ফর গ্লোবাল রোড সেফটি শীর্ষক আন্তর্জাতিক নেটওয়ার্কে ঢাকা মহানগরীকে স্বাগত জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত।
পরীক্ষিতও উপাত্ত-নির্ভর কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমেএই মৃত্যু সংখ্যার প্রায় পুরোটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রাণ সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় এই পদক্ষেপনেয়ায় আমরা মেয়র ইসলামকেসাধুবাদ জানান। / প্রেস বিজ্ঞপ্তি