দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) অষ্টম দিনে মোট ১৩ হাজার ৪৮৯টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন ইত্যাদি পরিদর্শন করে ১৩৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
শনিবার (১৩ জুন ) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত নগরীর ৫৪টি ওয়ার্ডে পরিচালিত এই অভিযানে ৮ হাজার ৫৬৬টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২৬টি মামলায় মোট ৫ লাখ ৯ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এডিসের লার্ভা পাওয়া অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়। ডিএনসিসির পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
গত ৬ জুন থেকে ১৩ জুন পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১ লাখ ৭ হাজার ৬২৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১ হাজার ২৬৯টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৭৪ হাজার ৩০৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ ৮ দিনে মোট ১৫ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
শনিবার উত্তরা এলাকায় মোট ৯৪৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৫টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৭১৫টি স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিসের লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার উল হালিমের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উত্তরা ও খিলক্ষেত এলাকায় ৮টি স্থাপনার মালিককে মোট ৩৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে আজ ৩ হাজার ৪০৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৪৪৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সময়ে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শফিউল আজম ২, ৩, ৪ ও ৮ নং ওয়ার্ডে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৯টি মামলায় মোট ২ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করেন।
মহাখালী অঞ্চলে আজ ১ হাজার ৫৬৫টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩২টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৮৪৫টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান মগবাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৬টি মামলায় মোট ২ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৩৬টি স্থাপনার মালিকদের সতর্ক করেন।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে ১ হাজার ৬৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৬২৬টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে ১ হাজার ৮৯৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ২৩টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ৩৮৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন ইন্দিরা রোড ও মনিপুরী পাড়া এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় মোট ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। এছাড়া ইন্দিরা রোডের আগোরা সুপার শপকে সাইনবোর্ড বাংলায় লেখার পূর্বের নির্দেশ পালন না করায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
হরিরামপুর অঞ্চলে মোট ১ হাজার ২৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ১ হাজার ১৩১টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চলে মোট ৮৬৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৭০৪টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চলে মোট ৭৪৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৪৯৭টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ভাটারা অঞ্চলে আজ ৫১০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৮টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৩৫২টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুল অঞ্চলে আজ ৬১৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা এবং ৫৬৮টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হচ্ছেঃ পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফুলের টব, বোতল, পানির মিটার, গ্যারেজ, পানির হাউজ, মাটির পাত্র, ভাঙ্গা মগ, বাড়ির মেঝে, পানির ট্যাংক, প্লাস্টিকের পাত্র, ছাদের ড্রেন, দইয়ের পাত্র, পরিত্যক্ত কমোড, ডাবের খোসা, ভাঙ্গা পাতিল, বেইজমেন্ট, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান ইত্যাদি। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।