সর্বশেষঃ
র‌্যাক স্পোর্টস ফেস্টিভ্যাল ফুটবলে ৪-০ গোলে বিজয়ী বাংলাদেশ স্পোর্টস প্রেস অ্যাসোসিয়েশন ‘শেখ বশিরের’ বিরুদ্ধে হত্যা মামলা: বাদী নিশ্চিত নয়, উপদেষ্টা সেখ বশির আসামি বিমানবন্দরে অতিথির সম্মান পাবেন প্রবাসীরা: ড. মুহাম্মদ ইউনূস গুলশানে রাস্তা ও ফুটপাতের ২৫০টি অবৈধ দোকান উচ্ছেদ ফরিদপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ৫ জন আটক বন্যায় ক্ষতবিক্ষত রায়পুর-লক্ষ্মীপুর-ঢাকা মহাসড়ক , জনভোগান্তি ১২০ টাকায় পুলিশের টিআরসি নিয়োগ: পুলিশ সুপার ফরিদপুর পদ্মাসেতু থেকে শরীয়তপুর  সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্নের দাবীতে মানববন্ধন ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডে ১,৩১,৩৭৬ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ‘সরকারি প্রকল্পে অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে হবে’
সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন

ডিএনসিসির চতুর্থ দিনের অভিযানের ১৬২ স্থাপনায় মিললো এডিসের লার্ভা

দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ এবং নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) বিশেষ পরিচ্ছন্নতার চলমান চিরুনি অভিযানের চতুর্থ দিনে ১৬২ স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।

মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ডিএনসিসির ৫৪াট ওয়ার্ডে একযোগে বিশেষ এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান (চিরুনি অভিযান) পরিচালনা করা হয়েছে। গত ৬ জুন থেকে শুরু হওয়া এই অভিযান চলবে ১০ কার্যদিবস পর্যন্ত। গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।

ডিএনসিসি মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম মঙবগলবার দুপুর ১২টায় অনুষ্ঠিত এক অনলাইন সভায় মোবাইল কোর্ট জোরদার করার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্দেশ প্রদান করেন। সভায় প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবদুল হাই, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

ডিএনসিসির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উর্লেখ করা হয়েছে, অভিযানের ৪র্থ দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ১৪হাজার ২৯৩টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ১৬২টিতে বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৯হাজার ৭৪০টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৮টি মামলায় মোট ৩৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়। লার্ভা পাওয়া স্থানগুলো হচ্ছেঃ পরিত্যক্ত টায়ার, বালতি, ফুলের টব, বোতল, পানির মিটার, গ্যারেজ, পানির হাউজ, মাটির পাত্র, ভাঙ্গা মগ, বাড়ির মেঝে, পানির ট্যাংক, প্লাস্টিকের পাত্র, ছাদের ড্রেন, দইয়ের পাত্র, পরিত্যক্ত কমোড, ডাবের খোসা, ভাঙ্গা পাতিল, বেইজমেন্ট, দুই বাড়ির মধ্যবর্তী স্থান ইত্যাদি।

গত ৬ জুন থেকে আজ পর্যন্ত এই ৪ দিনে ৫৪টি ওয়ার্ডে মোট ৫৪ হাজার ১৩০টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শন করে মোট ৭০১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এবং ৩৭ হাজার ৫৪৩টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এছাড়া এ ৪ দিনে মোট ১ লক্ষ ৮৬হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাবসেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের ১টি সেক্টরে অর্থ্যাৎ ১০টি সাবসেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে।

প্রতিটি সাবসেক্টরে ডিএনসিসির ৪ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১ জন মশক নিধনকর্মী, অর্থাৎ প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রতিদিন ৪০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ১০ জন মশককর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা, কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে আছে কিনা, কিংবা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনা, যা এডিস মশার বংশবিস্তারে সহায়ক, তা পরীক্ষা করছে।

চলমান এই চিরুনি অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৯জন কীটতত্ববিদ, ডিএনসিসির ৩ জন কীটতত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাগণ প্রত্যক্ষভাবে কাজ করছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ডিএনসিসির চিরুনি অভিযানসহ এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করছে।

চিরুনি অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাচ্ছে, তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এর ফলে চিরুনি অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোন কোন এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডাটাবেস তৈরি হবে। ডাটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদেরকে মনিটর করা সহজ হবে।

আজ চিরুনি অভিযানের ৪র্থ দিনে অঞ্চল-১ এর উত্তরা এলাকায় মোট ১১২০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এসময় ৩হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। এছাড়া ৮৩৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে আজ মোট ৩হাজার ১৮২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এসময়ে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ৫টি মামলায় মোট ২৫হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া ২হাজার ১৫৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে আজ মোট ১ হাজার ৬৮৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ১৫০টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

এছাড়া অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মীর নাহিদ আহসান ১৮নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত বারিধারা আবাসিক এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যাওয়ায় ১টি প্রতিষ্ঠানকে ১টি মামলায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। একই সাথে নোংরা ও এডিস মশার প্রজনন উপযোগী অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ থাকায় আরও ১১টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়েছে।

মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১হাজার ৮৯৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮৫১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ১হাজার ৭৪৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১ হাজার ৪০১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে আজ মোট ১হাজার ৪৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১হাজার ১৭৬টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ৯৪৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১২টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৪১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৮৪০টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫০১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে আজ মোট ৫০১টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া ৪৪৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৮৭৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৬৮৮টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।

উল্লিখিত সকল সম্ভাব্য এডিস মশার প্রজন স্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনাপূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জনসাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চলমান এই অভিযানের পূর্বে ১৬ মে থেকে শুরু করে ঈদুল ফিতরের পূর্ব পর্যন্ত ১, ৬, ১২, ১৮ ও ৩২ নম্বর মোট ৫টি ওয়ার্ডে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছিল। সে সময় ৯ হাজার ৪৬৩টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮৭টিতে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়া যায়।

চিরুনি অভিযানের সাথে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ১০ মে ২০২০ থেকে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হচ্ছে। বিভিন্ন বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ৬ লক্ষ ১২হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

অভিযান চলাকালে সকল এলাকাতেই এলাকাবাসীকে এডিস মশার বিস্তার রোধে সচেতন করা হয় এবং জরুরি প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে অবশ্যই মাস্ক পরিধানসহ সকলকে সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখার পরামর্শ প্রদান করা হয়।

অভিযান চলাকালে ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ, ডিএনসিসির বর্জ্য ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ, গণমাধ্যমকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published.


অনুসন্ধান

নামাজের সময়সূচী

  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৫:০৫ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ
  • ৩:৩৫ অপরাহ্ণ
  • ৫:১৪ অপরাহ্ণ
  • ৬:৩১ অপরাহ্ণ
  • ৬:২০ পূর্বাহ্ণ

অনলাইন জরিপ

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি এখন লিপসার্ভিসের দলে পরিণত হয়েছে।’ আপনিও কি তাই মনে করেন? Live

  • হ্যাঁ
    25% 3 / 12
  • না
    75% 9 / 12