দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি)৭ দিনর বিশেষ মশক নিধন অভিযানে ৪৪ হাজার ৯৬৮টি সড়ক, নর্দমা, জলাশয়, স্থাপনা পরিদর্শনকালে ২১০টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩০ হাজার ১২৯টিতে মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
রোববার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ডিএনসিসির ৭ দিনের বিশেষ বিশেষ মশক নিধন অভিযান শেষ হয়েছে। গত ২০ ফেব্রয়ারি থেকে শুরু হয়েছে মশার লার্ভা ও বংশবিস্তার প্রতিরোধের বিশেষ অভিযান চলেছে। এই বিশষে অভিযানকালে মশার লার্ভা ও বংশবিস্তারসহ আরো অন্যান্য অপরাধে নগরীর সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ৮৯টি মামলায় দায়ের করে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগের তথ্য মতে, উত্তরায় (অঞ্চল-১) ৭ দিনের বিশেষ অভিযানে ৫ হাজার ৫৭৯টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৪টিতে মশার লার্ভা পাওয়া যায়। তবে মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ থাকায় ৪ হাজার ২৪৫টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। ওই আঞ্চলের নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ১০টি মামলায় ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
মিরপুর-২ অঞ্চলে ৭০৭টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪৯টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ৫২৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৯টি মামলায় ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
মহাখালী (অঞ্চল-৩) ১৩ হাজার ৪৫০টি স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৭৩টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ৭ হাজার ৪৮১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২৩টি মামলায় ৪ লাখ ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) ১ হাজার ৪০২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ৭২৭টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালেহা বিনতে সিরাজের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ১টি মামলায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
কারওয়ান বাজার (অঞ্চল-৫) ১ হাজার ৪১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ৬৬৬টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২টি মামলায় ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
হরিরামপুর অঞ্চল-৬ এ ৮ হাজার ৪৯৯টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ৬ হাজার ৪২১টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিয়া আফরিনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ১২টি মামলায় ৮২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
দক্ষিণ খান (অঞ্চল-৭) ৫ হাজার ৯১৪টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৮টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়নি। ৪ হাজার ২৮৯টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে।
উত্তর খান (অঞ্চল-৮) ৫ হাজার ৬৯১টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩০টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ৩ হাজার ৩৯২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবেদ আলীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২৩টি মামলায় ৪০ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
ভাটারা (অঞ্চল-৯) ২ হাজার ৩৮৩টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২১টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ২ হাজার ১২০টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মামুনের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৯টি মামলায় ১ লাখ ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সাতারকুল (অঞ্চল-১০) ৩০২টি স্থাপনা পরিদর্শন করে ২টিতে মশার লার্ভা খুজে পাওয়া যায়। ২৬২টি স্থানে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম সম্পন্ন করে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়েছে। / প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।