দূরবীণ নউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলোতে অবস্থানরত রোগি, ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ মশকনিধন কার্যক্রমের শুরু হয়েছে। এছাড়া ডিএনসিসি এলাকার নার্সারিগুলোতেও বিশেষ মশক নিধন অভিযান শুরু হয়েছে।
প্রথম দিনে রোববার (১৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে তিনটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ঢাকা উত্তরের মোট ৪৬টি হাসপাতালের আঙ্গিনায় এবং আশেপাশে মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
হাসপাতালগুলো হচ্ছেঃ উত্তরা অঞ্চলে (অঞ্চল-১) কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল, আইচি হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল।
মিরপুর-২ অঞ্চলে (অঞ্চল-২) ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল, মিরপুর ১১, ওজিএসবি হাসপাতাল, মিরপুর ১৩, আল-শাফী হাসপাতাল, মিরপুর ১০.
মহাখালী অঞ্চলে (অঞ্চল-৩) এর অধীন এনআইডিসিএইচ (বক্ষব্যাধি হাসপাতাল), শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতাল, কুষ্ঠ হাসপাতাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, আইসিডিডিআর’বি এবং সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ হাসপাতাল।
মিরপুর-১০ অঞ্চলে (অঞ্চল-৪) সূর্যের হাসি ক্লিনিক, ডাঃ এম আর খান হাসপাতাল, ব্র্যাক মেটারনিটি সেন্টার, নগর মাতৃসদন, নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র-১, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক হাসপাতাল, হলি ওমেন্স ক্লিনিক।
কারওয়ান বাজার অঞ্চলে (অঞ্চল-৫) শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট, জাতীয় কিডনি রোগ ইন্সটিটিউট, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট, নিউরো সাইন্স হাসপাতাল, ২৫০ বেড টিবি হাসপাতাল, জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইন্সটিটিউট।
হরিরামপুর অঞ্চলে (অঞ্চল-৬) শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, আল আশরাফ জেনারেল হাসপাতাল, মা ও শিশু হাসপাতাল, শিন শিন জাপান হাসপাতাল এবং লেক ভিউ সুপার হাসপাতাল।
দক্ষিনখান অঞ্চলে (অঞ্চল-৭) এর অধীন সালমান হাসপাতাল, চাঁদের হাসি ক্লিনিক, ফাতেমা ক্লিনিক, আশা ক্লিনিক, তারেক মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আর্ক হাসপাতাল, সবুজ বাংলা ক্লিনিক, আশিয়ান হাসপাতাল, রোজা মেডিকেল, আর রাহা হাসপাতাল এণ্ড ডায়াগনস্টিক।
উত্তরখান অঞ্চল (অঞ্চল-৮) উত্তরখান জেনারেল হাসপাতাল, উত্তরখান ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র।
সপ্তাহব্যাপী এই কার্যক্রমে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে তিনটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত লার্ভিসাইডিং (মশার লার্ভার কীটনাশক) ও এডাল্টিসাইডিং (পরিণত মশার কীটনাশক) প্রয়োগ করা হবে এবং মশার বংশ বিস্তারের স্থান চিহ্নিত করে ধ্বংস করা হবে। ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায় মশক নিধনের স্বাভাবিক কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।# প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।