দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)এবার মধ্যে মশার উৎপত্তিস্থল ময়লা- আবর্জনা ও কচুরিপানায় পরিপূর্ণ নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন নর্দমা, ডোবা, পুকুর,খাল, জলাশয়গুলো পরিস্কারের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের নির্দেশে ডিএনসিসির বর্জ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তাদের তত্ত্বাবধানে একযোগে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় নর্দমা, ডোবা,খালের আবর্জনা পরিস্কারে সাড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে।
শনিবার (৩ অক্টোবর) ডিএনসিসির বর্জ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ত্ত্বাবধানে উত্তরা থেকে শুরুকরে, খিলক্ষেত, বনানী, গুলশান, বাড্ডা, মোহাম্দপুর, মিরপুর কল্যানপুর, মিরপুর ১২ নম্বর, মিরপুর কালশি সাংবাদিক পল্লী সংলগ্ন পুরনো খাল,ভাইশটেকেটি খালসহ আশপাশের বড় বড় সব খাল, নর্দমার আবর্জনা পরিস্কারের অভিযান চলছে।
আর এই অভিযানে সমন্বয়কারীর দায়িত্ব পালন করছেন ডিএনসিসির বর্জ ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ প্রধান বর্জ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. মফিজুর রহমান ভূইয়া এবং প্রতিটি স্পটে সরাসরি তদারিকতে রয়েছেন বর্জ ব্যবস্থাপনার বিভাগের মাঠে পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
অভিযান প্রসঙ্গে মফিজুর রহমান ভূইয়া বলেন, মেয়র স্যারের নির্দেশ এবং প্রধান বর্জব্যবস্থাপনার কর্মকর্তা স্যারের পরামর্শ ও সহযোগিতায় গত ২ অক্টোবর থেকে পুরোদমে নর্দমা,খাল ও ড্রেন পরিস্কারের অভিযান শুরু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব ডোবা ও জলায়ের আর্বজনা এবং কচুরিপানা পরিস্কাররে অভিযান চলবে। তবে অক্টোবরের মধ্যে ডিএনসিসির সব এলাকায় এসব আরর্জনা পরিস্কার করার নির্দেশনা রয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ডিএনসিসির রেকর্ডে মশার উৎপত্তিস্থল (ভাগাড়) বলে খ্যাত অনেকগুলো নর্দমা, ডোবা, খাল ও জলাশয়ের মালিক বেশ কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য রাজউকের উত্তরা রাজউক বিভাগ, সাধারণ বীমা করপোরেশনের রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্ট,পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, বিটিআরসি খিলক্ষেতসহ আরও বেশ কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ব্যক্তিমালিকানাধীণ আবজনাপূর্ণ জলাশয় রয়েছে।
আর এসব খাল, বিল,ডোবা ও জলাশয়ে প্রতিদিন প্রচুর মশা উৎপন্ন হচ্ছে। পশাপাশি একটু ভারী বৃষ্টিপাতেই পুরো নগরীতে ভয়াবহ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। ময়লাপানিতে পুরো নগরীর রাস্তা, গলিপত এবং নিম্মাঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। যারফলে ডিএনসিসির মেয়র এবার মশার হিংস্রতার থেকে পরিত্রাণ দেওয়া পাশাপাশি, নগরীর পরিবেশ সুন্দর, পরিচ্ছন্ন, জলাবদ্ধতা কমানো এবং মশা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য একযোগে নগরীতে একযোগে ময়লা- আবর্জনা পরিস্কারের এই উদ্যোগ নিয়েছেন।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন এ প্রতিবেদককে বলেন, অভিযান শুরুর আগে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে নগরীতে নর্দমা, ডোবা, পুকুর, জলাশয়ের মালিকবিভিন্ন ব্যক্তি, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নিজ নিজ দায়িত্বে ওইসব আবর্জনা পরিস্কারের জন্য চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
ডিএনসিসির গণবিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে,এ বর্ষা পরবর্তী শুষ্ক মৌসুমে কিউলেক্স মশার প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিউলেক্স মশা সাধারণত ময়লা-আবর্জনা, নর্দমা, অপরিচ্ছন্ন ডোবা, নালা,পুকুর, জলাশয় ইত্যাদি স্থানে বংশবিস্তার করে। এসব স্থানে ময়লা-আবর্জনা, কচুরিপানা, জলজ উদ্ভিদ থাকলে বারবার কীটনাশক প্রয়োগ করেও মশা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। ব্যক্তি মালিকানাধীন, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের খাল, ডোবা, জলাশয় ইত্যাদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা নিজ নিজ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব।
তাই নিজ নিজ মালিকানাধীন নর্দমা, ডোবা, পুকুর, খাল, জলাশয় ইত্যাদি থেকে কচুরিপানা, ময়লা-আবর্জনা নিজ দায়িত্বে অপসারণ করে নিতে হবে। অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি,প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছে ডিএনসিসি। # কাশেম