দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক:
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) চলমান বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের (চিরুনি অভিযান) তৃতীয় দিনে ১৩ হাজার ৬০৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শনকালে ১৩৮টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়।
এছাড়া ৭ হাজার ৫৮৭টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদিতে জমে থাকা পানি পাওয়ায় সেখানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়।
এছাড়া এডিসের লার্ভা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আজ ১৮টি মামলায় ২ লাখ ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
বুধবার (৪ নভেম্বর) ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে একযোগে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই চিরুনি অভিযান পরিচালিত হয়। গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।উত্তরায় অঞ্চল-১ এ ৮২৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ২২টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৭১৬টি বাড়ি, স্থাপনায় জমে থাকা পানি পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়নের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৭টি মামলায় মোট ৩২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-২ অঞ্চলে মোট ২ হাজার ৭২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৯টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৩৫৪টি বাড়ি, স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এস এম শফিউল আজমের নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৩টি মামলায় মোট ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মহাখালী অঞ্চল-৩ এ মোট ১ হাজার ৮৫৬টি বাড়ি, স্থাপনা ইত্যাদি পরিদর্শনকালে ৫৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১ হাজার ২৯০টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় এ সময়ে আঞ্চলিক নিবার্হী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ২টি মামলায় মোট ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
মিরপুর-১০ (অঞ্চল-৪) মোট ১ হাজার ৫৫৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৮৯১টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।কারওয়ান বাজারে অঞ্চল-৫ এ মোট ২ হাজার ৪৫৩টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ২৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২ হাজার ১০৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পারসিয়া সুলতানা প্রিয়াংকার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৩টি মামলায় ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
হরিরামপুরে অঞ্চল-৬ এ মোট ১ হাজার ৪৭৪টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ২৬৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। ডিএনসিসির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হামিদ মিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট ৩টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
দক্ষিণখানে অঞ্চল-৭ এ মোট ৮১৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এ ছাড়া ৫৮৮টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখানে অঞ্চল-৮এ মোট ৬৪৯টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৭টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
ভাটারায় অঞ্চল-৯ এ মোট ৪৯৬টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৩২৫টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সাতারকুলে অঞ্চল-১০ এ মোট ৭৫০টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শনকালে ১টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ৬১৪টি বাড়ি ও স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এ সকল স্থানে মশার কীটনাশক প্রয়োগ করে জমে থাকা পানি ফেলে দেয়া হয়। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।