দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) দ্বিতীয় দফা পরিচ্ছন্নতা ও এডিস মশার বিরুদ্ধে চিরুনি অভিযানের তৃতীয় দিনে ১৩ হাজার ৬৮৮টি বাড়ি, স্থাপনা, নির্মাণাধীন ভবন পরিদর্শনকালে ৮৫টিতে এডিসের লার্ভা পেয়েছে। এছাড়া ৭ হাজার ৯০৯টি বাড়ি/স্থাপনায় এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
সোমবার ( ৬ জুলাই) পরিচালিত অভিযানকালে ১৮টি মামলায় মোট ২ লাখ ২২হাজার ৮০০টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যান্য বাড়ি ও স্থাপনার মালিককে সতর্ক করা হয়েছে। গণমাধ্যমকে এই তথ জানান ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ।
সোমবার উত্তরা অঞ্চল-১ এর অধীনে মোট ১হাজার ৩০১ টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১৪টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১০৪৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
মিরপুর অঞ্চল-২ এর অধীনে মোট ২হাজার ৯৪৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৫টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৪৩৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৩টি মামলায় মোট ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মহাখালী, অঞ্চল-৩ এর অধীনে মোট ১ হাজার ৬৯৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ১হাজার ১১৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে ২০নং ওয়ার্ডের মহাখালী এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি প্রতিষ্ঠান ও বাড়িকে ৪টি মামলায় মোট ১লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মিরপুর ১০, অঞ্চল-৪ এর অধীনে মোট ১হাজার ৪৯৮টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৮২৫টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ২টি মামলায় মোট ১৫হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
কারওয়ান বাজার, অঞ্চল-৫ এর অধীনে মোট ২ হাজার ৩৩৯টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ১০টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১ হাজার ৫১১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
হরিরামপুর, অঞ্চল-৬ এর অধীনে মোট ১হাজার ৭২৫টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ৭টিতে এডিস মশার লার্ভা লার্ভা পাওয়া যায়। এছাড়া ১হাজার ৩৩৬টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
দক্ষিণখান অঞ্চল-৭ এর অধীনে মোট ২০২টি বাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করে ১টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ১৫১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়।
উত্তরখান অঞ্চল-৮ এর অধীনে মোট ৭১৮টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টি স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ৫২১টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৮টি মামলায় মোট ৫হাজার ৩০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভাটারা অঞ্চল-৯ এর অধীনে মোট ৪৮৪টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৪টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায়। বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়েছে। এছাড়া সেখানে ৩৭৯টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এসময়ে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১টি মামলায় ২হাজার ৫০০টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সাঁতারকুল অঞ্চল-১০ এর অধীনে মোট ৭৭৭টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে ৩টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে বাড়ির মালিকদেরকে সতর্ক করে লার্ভা ধ্বংস করা হয়। এছাড়া ৫৯৩টি বাড়ি/ স্থাপনায় এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। উল্লিখিত সকল এডিস মশার সম্ভাব্য প্রজননস্থলে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম পরিচালনা পূর্বক কীটনাশক ছিটানো হয়েছে এবং জন্সাধারণকে এবিষয়ে পরবর্তীতে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দ্বিতীয় ধাপের এই চিরুনি অভিযানে আজ পর্যন্ত এই তিন দিনে মোট ৩৯হাজার ৬০৬টি বাড়ি/স্থাপনা পরিদর্শন করে মোট ২৭৫টিতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া যায় এবং ২৪ হাজার ৪৬৭ টিতে এডিস মশার প্রজনন উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যায়। এই ৩ দিনে মোট ৬ লাখ ৭৫ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে ডিএনসিসির চিরুনি অভিযান আগামীকালও অব্যাহত থাকবে। # প্রেস বিজ্ঞপ্তি ।