দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
পুলিশের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বর্তমানে বরখাস্ত মিজানুর রহমানসহ ৪জনের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দায়ের করা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বিচারিক আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বিচারিক আদালতে চলমান এই মামলার অপর আসামীরা হলেন, ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা, ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগ্নে মাহমুদুল হাসান।বিচারিক আদালতে কারাবন্দি আসামী ডিআইজি মিজান ও তার ভাগনে মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে ডিআইজি মিজানের স্ত্রী এবং ছোট ভাই পলাতক থাকায় তাদের অনুপস্থিতিতেই বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬ এর বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামানের আদালত দুদক কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এরপর দুদক আরও ৪জন সাক্ষীকে উপস্থাপন করতে আবেদন করেন। আদালত দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে আগামী ১৬ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন।
সূত্র মতে, ২০১৯ সালের ২৪ জুন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ বাদী হয়ে ডিআইজি মিজানসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
আসামীদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আসিফুজ্জামান এই ৪ আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কে এম ইমরুল কায়েশ এটি ঢাকার বিশেষ জজ-৬ আদালতে বদলির আদেশ দেন। ওইদিন মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা ও ছোটভাই মাহবুবুর রহমান পলাতক থাকায় তা পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশের কপি আদালতে উপস্থাপন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর আইন অনুযায়ী আদালত মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন।
ওই বছরের ৯ ফেব্রæয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে মিজানের স্ত্রী ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরও আগে ৩০ জানুয়ারি দুদক পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ এ মামলার চার্জশিট দাখিল করেন।
সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজান ছাড়া চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামীরা হলেন- মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার রতœা ওরফে রতœা রহমান, ছোটভাই মাহবুবুর রহমান ও ভাগনে মাহমুদুল হাসান। ২০২০ সালের ১ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিনের জন্য গেলে ডিআইজি মিজানকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের বে । মিজানকে তাৎক্ষণিক হাইকোর্ট পুলিশের হাতে তুলে দেন আদালত। গ্রেফতারের পর তাকে শাহবাগ থানায় নেওয়া হয়। ওই বছরের ২ জুলাই মিজানের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত। #