দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
প্রচন্ড ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিরদিনের জন্য চলে গেলেন সিনিয়র কবি ও বিশিষ্ট সাংবাদিক মাশুক চৌধুরী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি মঙ্গলবার (২৩ জুন) দিবাগত রাত দেড়টায় রাজধানীর রাশমনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৩ বছর। মাশুক চৌধুরীর জন্মস্থান ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায়।
বুধবার (২৪ জুন ) সকাল ৭টায় রাজধানীর হাজীপাড়ায় প্রথমদফা এবং উত্তর মাদারটেক বায়তুল্লাহ জামে মসজিদে দিতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে মাদারটেক কবরস্থানে মাশুক চৌধুরীর লাশ দাফন করা হয়েছে বলে জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
সবার প্রিয় মাশুক চৌধুরীর মৃত্যুতে গভীর শোক ও পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। আল্লাহ এই সরলপ্রাণ, ভদ্র, মার্জিত স্বভাবের মানুষটিকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন।
পরিবার থেকে জানানো হয়, মাশুক চৌধুরী গত ১৬ জুন অসুস্থ হয়ে শাহজাহানপুরে প্যান প্যাসিফিক হাসপাতাল ভর্তি হন কবি ও সাংবাদিক মাশুক চৌধুরী। করোনা পরীক্ষার পর তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। এরপর নিউমোনিয়া ধরা পড়ে এই বিশিষ্ট কবি ও সাংবাদিকের।
মাশুক চৌধুরীর ছোট ভাই আশরাফুল হায়দার চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টায় তার অবস্থার অবনতি ঘটে। চিকিৎসকরা আইসিইউ’র জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। সেখান থেকে তাকে রাশমনো হাসপাতালে নেওয়া হয়। কিন্তু রাত দেড়টায় চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাশুক চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে সাংবাদিকতা পেশায় যোগ দেন। তিনি ১৯৭২ সালে দৈনিক গণকন্ঠ থেকে সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিন বিভিন্ন সংবাদপত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি জাতীয়তাবাদী ধারার ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সদস্য ছিলেন। জাতীয় প্রেসক্লাব ও সাব এডিটর্স কাউন্সিলের সিনিয়র সদস্য ছিলেন তিনি। কবি হিসেবেও বেশ সুখ্যাতি ছিল মাশুক চৌধুরীর। তাঁর তিনটি কাব্যগ্রন্থ ও একটি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।
তিনি দৈনিক সংবাদ, দৈনিক খবরপত্র, দৈনিক দেশসহ বিভিন্ন পত্রিকায় কাজ করেছেন। সর্বশে বাংলাদেশ প্রতিদিনেরর প্রধান বার্তা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। মাশুক চৌধুরীর প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে বিখ্যাত কয়েকটির নাম, ‘মুক্তিযুদ্ধ প্রিয়তমা আমার’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘স্বর্গের রেপ্লিকা’, ‘অত্যাগসহন’ ও ‘নদীর নাম দুঃসময়’।
মাশুক চৌধুরীর মৃত্যুতে জাতীয় প্রেস ক্লাব সভাপতি সাইফুল আলম এবং সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন গভীর শোক প্রকাশ করেছেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
এছাড়াও সাংবাদিকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মাশুক চৌধুরীর মৃত্যুর খবরে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। একই সাথে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। # কাশেম