দূরবীণ নিউজ প্রতিবেদক :
টাঙ্গাইল জেলায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বহিরাগত দালালরা অবৈধভাবে অফিসে অবস্থান করে দাপ্তরিক কার্যক্রমের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) দুদক অভিযোগ কেন্দ্র-১০৬ এ প্রাপ্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত টাঙ্গাইল জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আতিকুল আলমের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।
গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।
তিনি আরো জানান, অভিযানকালে দুদক টিম অফিসের আশেপাশে দালালদের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে বহিরাগত দালালরা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এছাড়া অফিসে বহিরাগতরা কিভাবে দাপ্তরিক কাজ সম্পাদন করে তা জানতে চাইলে বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ তা অস্বীকার করে।
এ ব্যাপারে কার্যালয়ের প্রধানকে ভবিষ্যতে দালালমুক্ত অফিস নিশ্চিতকরণ এবং আগত গ্রাহকদের দ্রুত সেবা প্রদানে আরো সচেষ্ট হওয়ার জন্য পরামর্শ প্রদান করে এনফোর্সমেন্ট টিম।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে সরকারি ওষুধ বাইরের ফার্মেসিতে বিক্রয় এবং দালালদের মাধ্যমে রোগীদের বাইরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক নাজমুল হোসেনের নেতৃত্বে আরেকটি অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে দুদক টিম আশেপাশের বেশ কয়েকটি ফার্মেসিতে সরকারি ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখতে তল্লাশি চালায়।
দুদক কর্মকর্তা জানান, এছাড়া হাসপাতালে নানা অনিয়মের সাথে জড়িত বলে পরিচিত “দালাল শামীম” নামক ব্যক্তিকে খোঁজ করে দুদক টিম জানতে পারে কিছুদিন আগে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তৎপরতায় তাকে এলাকাছাড়া করা হয়েছে।
হাসপাতালের কার্যক্রম স্বচ্ছতার সাথে পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে এবং অত্যন্ত সতর্কতার সাথে সরকারি ওষুধের রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানায় কর্তৃপক্ষ।
পশ্চিমগাঁও ভূমি অফিস লাকসাম, কুমিল্লার তহসিলদার জনাব মোঃ মহসিন প্রতিটি নামজারি থেকে ৩০-৪০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদক কুমিল্লা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাফি মোঃ নাজমুস সাদাত এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে জানা যায় যে, অভিযুক্ত ব্যক্তি এর আগেও আগত সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ দাবি করেছে এবং এ ব্যাপারে অনেকেই সহকারী কমিশনার (ভূমি)-র কাছে অভিযোগ জানায়। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত সপ্তাহে তাকে পশ্চিমগাঁও ভূমি অফিস থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। দুদক টিম কর্তৃপক্ষকে ঘুষমুক্তভাবে ভূমি সেবা প্রদানের জন্য সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানায়।
এছাড়া রেলের টিকিট বিক্রিতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ও ভুয়া কাগজপত্র, জন্ম সনদ দিয়ে সরকারি চাকরিতে যোগদানের অভিযোগে দুদক প্রধান কার্যালয় এবং সমন্বিত জেলা কার্যালয়-যশোর হতে আরও ০২ টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
দুদক এনফোর্সমেন্ট ইউনিটে আগত বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক প্রতিবেদনের মাধ্যমে কমিশনকে অবহিত করার নিমিত্ত অতিরিক্ত মহা পুলিশ পরিদর্শক– সিআইডি, বাংলাদেশ পুলিশ; জেলা প্রশাসক-চাঁদপুর; জেলা প্রশাসক-ফেনী; ব্যবস্থাপনা পরিচালক- তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড বরাবর পত্র প্রেরণ করেছে দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট। #কাশেম