দূরবীণ নিউজ প্রতিনিধি:
‘জয়যাত্রা’ নামে একটি অনলাইন টেলিভিশন মালিক ও আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুই বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেকের দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাভোগের আদেশ দিয়েছেন। দন্ডপ্রাপ্ত অপর আসামিরা হলেন জয়যাত্রা টিভির জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী ও স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ার।
২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে রাজধানীর পল্লবী থানায় প্রতারণার অভিযোগে সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে একটি প্রতারণার মামলা করেন। ওই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে জরিমানাসহ সাজার রায় দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২০ মার্চ) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন । রায় ঘোষণার সময় হেলেনা জাহাঙ্গীর ও হাজেরা খাতুন আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। অন্য তিনজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। গত ১৪ মার্চ ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২০ মার্চ দিন ধার্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাতে পল্লবী থানায় সাংবাদিক আব্দুর রহমান তুহিন বাদী হয়ে একটি প্রতারণার মামলা করেন। মামলায় জয়যাত্রা টিভির চেয়ারম্যান হেলেনা জাহাঙ্গীর, জেনারেল ম্যানেজার হাজেরা, প্রধান বার্তা সম্পাদক কামরুজ্জামান আরিফ, কো-অর্ডিনেটর সানাউল্ল্যাহ নূরী, স্টাফ রিপোর্টার মাহফুজ শাহরিয়ারসহ অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বাদী তুহিন অভিযোগ করেন, জয়যাত্রা টিভির স্থানীয় সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য ভোলা জেলার আবদুর রহমান তুহিনের কাছ থেকে ৫৪ হাজার টাকা নেন হেলেনা। প্রতিবেদক হিসেবে রহমান কয়েক মাস কাজ করলেও কোনো বেতন পাননি। অন্যদিকে তার কাছ থেকে প্রতি মাসে তিন হাজার টাকা নেয় টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ।
তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৯ ডিসেম্বর হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইড) পরিদর্শক শাহিনুর ইসলাম অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ১৮ এপ্রিল ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন তোফাজ্জল হোসেন দন্ডবিধি ৪২০/৩৪ ধারায় আসামিদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ গঠন করেন। মামলায় ২৬ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময় ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। #কাশেম